News update
  • Vegetable prices remain high, people buy in small quantities     |     
  • Off-season watermelon brings bumper crop to Narail farmers     |     
  • Climate Change Drives Deadly Floods, Storms, and Water Crises     |     
  • UN Advances Peace, Development Amid Global Challenges     |     
  • S Arabia, Pak ink defence pact after Israeli strike on Qatar     |     

রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদনেও বাড়ছে লোডশেডিং

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিদ্যুৎ 2024-04-24, 6:41pm

oriutiwotoiow-aeab3bc2f12fead8a646860f0f8bb2961713962589.jpg




দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড স্থাপিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)  ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এ রেকর্ড গড়ে। এদিকে মঙ্গলবারই সর্বোচ্চ পরিমাণ লোডশেডিংও রেকর্ড হয় দেশে। এদিনে সর্বোচ্চ এক হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়েছে।

চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও বেগ পেতে হচ্ছে। চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সেই সঙ্গে জ্বালানি সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে নিজেদের অক্ষমতার কথাও জানালেন তারা।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দেশে চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, তখন লোডশেডিং ছিল এক হাজার ৪৯ মেগাওয়াট। অন্যদিকে, এদিন সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিব) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দেশের গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য অনুযায়ী কোনো কোনো গ্রামীণ এলাকায় দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশ ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির সংকট ও সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত না থাকায় চাহিদা অনুযাযী বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড গড়েও দেশবাসীকে স্বস্তি দিতে না পারার বিষয়ে জানতে চাইলে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ হোসাইন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রতিদিনই দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে চলেছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বিদ্যুতের চাহিদা বেশি। এ চাহিদার কথা চিন্তা করেই আমরা জনগণকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়িয়েছি। আমরা এখন অনায়াসেই ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করত পারি। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেসব উপাদান প্রয়োজন যেমন গ্যাস, ফার্নেস অয়েল ও কয়লা এগুলোর যোগানে ঘাটতি রয়েছে।’

মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি যোগান দিতে যেমন সমস্যা হচ্ছে পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পরিশোধ করতেও সমস্যা হচ্ছে।’ তবে এ সমস্যা কাটিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

লোডশেডিং মোকাবিলায় সরকারের নানামূখি পদক্ষেপ ও পরিকল্পনার কথা জানিয়ে পাওয়ার সেলের ডিজি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে লোডশেডিংকে সীমিত পর্যায়ে নিয়ে আসতে। জনগণে যাতে দূর্ভোগ না হয় সে লক্ষ্যে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি সরবরাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করছি শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।’ এনটিভি নিউজ