সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর অঞ্চলে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় শিশুসহ কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জাতিসংঘ ও একটি ত্রান সংস্থা রোববার জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিসের (ওসিএইচএ) তথ্যমতে, গত শুক্রবার গভীর রাতে দক্ষিণ দারফুর প্রদেশের কাস এলাকায় এই ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
সুদানের মানবিক সহায়তা কমিশনের বরাত দিয়ে ওসিএইচএ জানিয়েছে, বন্যায় প্রায় ৫৪০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত মানুষের বসবাসের জন্য করা এই এলাকার ১০০টিরও বেশি বাড়িঘর এতে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সমন্বয়ক টবি হারওয়ার্ড ঐ মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। তিনি টুইটারে বন্যাকবলিত এলাকা ও বাড়িঘরের ছবি পোস্ট করেন। তিনি আরও বলেন, ইউএনএইচসিআর ও এর সহযোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা দিতে কাজ করছে।
জেনারেল কো-অর্ডিনেশন ফর রিফিউজিস অ্যান্ড ডিসপ্লেসড ইন দারফুর নামের একটি এনজিও বলেছে, নিহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারী এবং ২ ও ৮ বছর বয়সী দুটি বাচ্চা ছেলেও রয়েছে।
ওসিএইচএ'র তথ্য অনুযায়ী, গত জুনে বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে দক্ষিণ কোর্দোফান, সাউথ দারফুর, হোয়াইট নাইল ও কাসালা প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৯ হাজার ৩৩৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সুদানের বর্ষাকাল সাধারণত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। গত বছরও বন্যা ও ভারি বর্ষণে সেখানে ৮০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং সারা দেশে হাজার হাজার ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।