News update
  • Dhaka seeks global pressure on Myanmar for lasting peace     |     
  • BSEC Chairman’s resignation urged to stabilise stock market     |     
  • Rain, thundershowers likely over 8 divisions: BMD     |     
  • First freight train leaves Mongla carrying molasses     |     
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     

হাতিরঝিলে মিলল গাজী টিভির সাংবাদিক রেহনুমার মরদেহ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2024-08-28, 11:09am

39c2a1f3440a28107dd1341f3b731e9a4817e6600c2b309e-230fd2c9b5f51c52d339af3cdbdc391f1724821791.jpg

রেহনুমা গাজী টিভিতে নিউজরুম এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফাইল ছবি



রাজধানীর হাতিরঝিল লেক থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গাজী টিভির (জিটিভি) সাংবাদিক রেহনুমা সারাহর (৩২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

মৃত রেহনুমা গাজী টিভিতে নিউজরুম এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কল্যাণপুরে থাকতেন বলে জানা গেছে। সারাহ নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার ইসলামবাগ কৃষ্ণপুর গ্রামের বখতিয়ার শিকদারের মেয়ে। তার স্বামীর নাম সায়েদ শুভ্র।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন রেহনুমা। তাতে ফাহিম ফয়সাল নামে তার এক বন্ধুকে ট্যাগ করে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন।

এর ক্যাপশনে তিনি লেখেন,

তোমার মতো বন্ধু থাকা খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। আশাকরি খুব শিগগিরই তোমার স্বপ্ন পূরণ করবে। আমি জানি, আমাদের অনেক পরিকল্পনা ছিল। দুঃখের বিষয় হলো পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলাম না। আল্লাহ তোমার জীবনের সব আশা বাস্তবায়ন করুন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রেহনুমা সারাহর মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। তবে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। সংশ্লিষ্ট থানাকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।

সারাহর স্বামী সায়েদ শুভ্র জানান, ভালোবেসে সাত বছর আগে তারা পরিবারকে না জানিয়ে বিবাহ করেন। গতকাল সারাহ অফিসে গিয়ে রাতে আর বাসায় ফেরেনি। রাত ৩টার দিকে হাতিরঝিল লেকের পানিতে ঝাঁপ দেয়ার খবর জানতে পারেন। পরে ঢামেক গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

তাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, তবে বেশ কিছুদিন আগ থেকে আমার স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে চাচ্ছে। আমরা দুজনই কাজী অফিসে গিয়ে ডিভোর্স দিয়ে আসব। দেশের এই পরিস্থিতিতে আর কাজী অফিসে যাওয়া হয়নি।

রেহনুমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া পথচারী জানান, ওই নারীকে ঝিলের পানিতে ডুবতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেন। দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সময় সংবাদ।