News update
  • অতিথি পাখির বিচরণ আর দুষ্টুমিতে নান্দনিক হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার চর বিজয়      |     
  • Remittance inflow exceeds $632 million in first six days of Dec     |     
  • 18 migrants die as inflatable boat sinks south of Greek island of Crete     |     
  • TIB for polls manifesto vows to curb misuse of powers and religion     |     
  • Khaleda now not fit for travelling: Medical Board     |     

এত কিছুর পরও কেন ইতালি যাওয়া হলো না মুন্সীগঞ্জের সেই বিড়ালটির?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2025-11-07, 7:31pm

rfrwerwerwe-e22fc40aa5ff2e783094d16b580a5ba21762522310.jpg




চার বছর ধরে পরিবারের সদস্যের মতো লালন করা বিড়াল ক্যান্ডিকে লাখ টাকা খরচে ইতালি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল মুন্সিগঞ্জের স্বপ্নীল হাসান শিথিলের পরিবার। তবে বহনকারী খাঁচার উচ্চতা কম থাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আপাতত বিড়ালটিকে ইতালি যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।

বুধবার (৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে পোষা বিড়াল ক্যান্ডিসহ রোমের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল শিথিল ও তার মা রিক্তা বেগমের। বিশেষ খাঁচা, বিমানের টিকিট, সরকারি অনুমতি, পোষা প্রাণীর পাসপোর্ট সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেই যাত্রা শুরু করে সে।

তবে জটিল সব প্রক্রিয়া অতিক্রম করতে পারলেও শেষ মুহূর্তে বাধ সাধে বিড়াল বহনকারী বিশেষ খাঁচা। প্রয়োজনের তুলনায় খাঁচাটির উচ্চতা কম থাকায় বিড়ালটির ঝুঁকি বিবেচনায় ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি মেলেনি। এতেই লাখ টাকা খরচ করেও সঙ্গে করে ক্যান্ডিকে ইতালি নেয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলো।

স্বপ্নীল হাসান শিথিল বলেন, ‘খাঁচার উচ্চতার কথা বলে বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয়। অত রাতে হাতে পর্যাপ্ত সময় না থাকায় আমরা নতুন খাঁচা কিনতে পরিনি। তাই ক্যান্ডিকে সঙ্গে আনতে পারিনি। ক্যান্ডিকে আমার বোনের কাছে রেখে এসেছি। আগামী জানুয়ারিতে আমার আত্মীয় ক্যান্ডিকে ইতালি নিয়ে আসবেন।’

এদিকে, বৃহস্পতিবার ক্যান্ডিকে নিয়ে আসা হয়েছে রিক্তা বেগমর বোনের বাসায়। বোনের মেয়ের তনিকা রহমান রোজা বিড়ালটির পরিচর্যা করছেন। তবে পোষা বিড়ালটি মায়ের আদর পাওয়া রিক্তা বেগম ও তার ছেলে স্বপ্নীল হাসান শিথিলকে খোঁজাখুঁজি করছে। কিন্তু তাঁদের না পেয়ে অনেকটা মনমরা অবস্থায় রয়েছে ক্যান্ডি। তবে তাঁকে যথা সময়ের খাবার দেয়াসহ যাবতীয় পরিচর্যা চলছে।

জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ শহরের মানিকপুর এলাকার রিক্তা বেগম ২০২১ সালে ১৫ হাজার টাকায় অনলাইন থেকে কিনেছিলেন বিড়ালছানা ক্যান্ডিকে। এরপর থেকেই ক্যান্ডি হয়ে ওঠে পরিবারের অবিচ্ছেদ্য সদস্য।

রিক্তার স্বামী আব্দুল হাই কর্মসূত্রে বর্তমানে ইতালির রোমে অবস্থান করছেন। কয়েক মাস আগে ছুটি কাটাতে দেশে এসে তিনিও ক্যান্ডির মায়ায় মুগ্ধ হন। পরিবারের আবেগের কথা ভেবে তিনিও বিড়ালটিকে সঙ্গে নেয়ার অনুমতি দেন। ছেলে স্বপ্নীল হাসান শিথিলকে নিয়ে পুরো পরিবার সেখানে স্থায়ীভাবে যাওয়ায় প্রিয় ক্যান্ডিকে তারা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।