News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

বাংলাদেশের ব্যাংকখাতের ঋণমান কমালো মুডিস

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যাঙ্কিং 2025-03-13, 7:23am

img_20250313_070527-1fb09b7bbe8c998f3d2541a27518eba01741828994.jpg




দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের ব্যাংকখাতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে আশঙ্কা করে বিশ্বখ্যাত ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়েছে। আগে ঋণমান ছিল ‘বি-ওয়ান’, এখন তা নেমে এসেছে ‘বি-টু’ পর্যায়ে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’ হয়ে গেছে।

বুধবার (১২ মার্চ) বিশ্বখ্যাত ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সম্পদের ঝুঁকি বাড়ছে ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, যা ব্যাংকগুলোর মুনাফা ও স্থিতিশীলতার ওপর চাপ তৈরি করবে।

প্রকাশিত মুডিসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্পদের মানের অবনতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের ব্যাংকখাতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সি মুডিস পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী জুনে শেষ হওয়া চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে, যা আগের বছরের ৫ দশমিক ৮ শতাংশের তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ কম। বাংলাদেশের ব্যাংক খাত এখন কঠিন সময় পার করছে। সরকারের সহায়তা ছাড়া ব্যাংকগুলোর জন্য সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।

যে চারটি কারণে রেটিং কমানো হয়েছে। তা মুডিসের মতে, ১. অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ২.  ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি বাড়ছে। ৩. খেলাপি ঋণের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। ৪.  মূল্যস্ফীতি চরমে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, পোশাক খাতের সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা হ্রাস অর্থনৈতিক মন্দার অন্যতম কারণ।

অপরদিকে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫ মাসের ব্যবধানে নীতিগত সুদের হার ৬% থেকে বাড়িয়ে ১০% করেছে। তবে ২০২৫ সালেও মূল্যস্ফীতি উচ্চমাত্রায়, প্রায় ৯.৮ শতাংশে থাকার আশঙ্কা করছে মুডিস।

বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন নিম্নমুখী

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমছে উল্লেখ করে মুডিস মনে করছে, ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৫% হতে পারে, যা আগের বছরের ৫.৮% থেকে কম।

মূল্যস্ফীতি বেশি থাকবে জানিয়ে মুডিস জানায়, ২০২৫ সালেও প্রায় ৯.৮% মূল্যস্ফীতি হতে পারে।

অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫ মাসের ব্যবধানে নীতিগত সুদের হার ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছে। তারপরও এখনো মূল্যস্ফীতি উচ্চমাত্রায় রয়েছে। এটি প্রায় ৯ দশমিক ৮ শতাংশে থাকার আশঙ্কা করছে মুডিস।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অবস্থা আরও খারাপ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মূলধন পরিস্থিতি নেতিবাচক (-২.৫%), যা বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় অনেক নিচে। সরকার নতুন করে টাকা না দিলে এসব ব্যাংকের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের চেষ্টায় সুদের হার ৬% থেকে ১০% করেছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য। খেলাপি ঋণ কমাতে ২০২৫ সালের এপ্রিলে কঠোর নিয়ম আসছে। তারল্য সংকট এড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সহায়তা দেবে।

মুডিসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সম্পদের ঝুঁকি বাড়ছে। কারণ, খেলাপি ঋণের হার বেড়ে চলেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকে খেলাপি ঋণের হার ১৭ শতাংশে পৌঁছায়, যা কি না তার ৯ মাস আগে ছিল ৯ শতাংশ।

সার্বিক পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রা কঠিন হবে। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন হতে পারে। পণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। ব্যবসায় বিনিয়োগ কমতে পারে। চাকরি বাজারে প্রভাব পড়তে পারে। আরটিভি