News update
  • BNP moves to finalise seat sharing as alliance friction grows     |     
  • BNP plans universal 'Family Card' for all women: Tarique Rahman     |     
  • Tangail saree weaving gets recognition as intangible cultural heritage     |     
  • Chuadanga farmers thrive as cauliflower yields hit new high     |     
  • Jamaat and allies set to begin seat-sharing discussions from Tuesday     |     

ঋণ পেতে আইএমএফের চাপিয়ে দেয়া শর্ত মানবে না বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যাঙ্কিং 2025-10-15, 9:46am

6197c1c511969723d655b8c104517f51504b232748a5744b-e813b3743b654719742997eeecda8eea1760499990.jpg




আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপিয়ে দেয়া শর্তে ঋণ নিতে বাংলাদেশ আর কোনো নতি স্বীকার করবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক ধাক্কায় রিজার্ভের ধারাবাহিক পতন শুরু হলে ২০২২ সালে নানা শর্তে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে বাংলাদেশ। পরে ২০২৪ সালে অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় এসে আরও ৮০ কোটি ডলার ঋণ চুক্তি করে অন্তর্বর্তী সরকার। একইসঙ্গে বাড়তে থাকে সংস্কার প্রশ্নে দাতা সংস্থার নানা শর্ত।

কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে রেমিট্যান্স ও প্রবাসী আয়ের চমক সক্ষমতার জানান দিচ্ছে বাংলাদেশ। ফলে ঋণের বাকি অর্থ পেতে আইএমএফের চাপিয়ে দেয়া কোনো শর্ত মানবে না বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে ২য় দিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফ যদি পুনরায় নানান শর্ত জুড়ে দেয় তাহলে যেগুলো আমাদের জন্য বন্ধুসুলভ না, সেখানে যাব না।

বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন সরকারের প্রতিনিধিরা। সংবাদ সম্মেলনে অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার জানান, বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা মিগার সঙ্গে কথা হয়েছে। রফতানিকারকদের সহায়তা দিতে ও রিজার্ভের ওপর যাতে চাপ না পড়ে, সেজন্য রফতানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ তহবিলের জন্য ৫০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দেবে সংস্থাটি। এটি নিয়ে আলোচনা চলছে।

এসময় এক প্রশ্নের জবাবে সরকারের প্রতিনিধিরা জানান, কোনো বিশেষ গ্রুপকে সহায়তা দিতে নয় বরং সেবার মান নিশ্চিত করতেই চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার মেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক যে প্রবৃদ্ধি সেই প্রেক্ষাপটে প্রতি মাসে ৩-৪ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয়ের পাশাপাশি রফতানি আয়েও গতি বাড়াতে পারলে দাতা সংস্থার ঋণ নির্ভরতা অনেকটাই কমে আসবে বাংলাদেশের, এমনটাই প্রত্যাশা সরকারের প্রতিনিধিদের।