জাতীয়তাবাদী যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিত যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক নেতারা বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
সবশেষ রোববার (৫ মার্চ) গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে আবারও বিক্ষোভ করেছে পদবঞ্চিতরা।
তাদের অভিযোগ, সক্রিয় ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে অনিয়ম ও সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকা প্রবাসী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত এবং নিজেদের লোক দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে অর্ধশতাধিক নেতাকে পদায়ন করা হয়েছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় নন। তারা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে পদপ্রাপ্তদের পদ বাতিল করে ত্যাগী কর্মীদের মূল কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, যুবদল সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলী আশরাফ, কামাল উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান দুলাল, আতিকুর রহমান আতিক, সামসুর রহমান, মাহতাব আলম, যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর তাহের বাবু, রিয়াদ হোসেন উজ্জ্বল, সাবেক সদস্য শাহজাহান কবির শাহীন, সৈয়দ আবেদিন প্রিন্স, রাসেল মিয়া, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি তারেক উজ-জামান, জাকির হোসেন খান, আশরাফুর রহমান বাবু, শোয়েব খন্দকার, হুমায়ুন কবির, সাজ্জাদ হোসেন উজ্জ্বল, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান সোহাগ, এ বি এম মহসিন বিশ্বাস, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার জাহিদ, সুমন চৌধুরী, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কোয়েল হোসেন, রাকিবুল হাসান হাওলাদার, সাবেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক-ইয়াকুব রাজু, সাবেক সহ-সম্পাদক খন্দকার রিয়াজ, মাজেদুল ইসলাম মাসুম, রবিউল হাসান আরিফ, জিল্লুর রহমান কাজল, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান রিয়াদ, অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান মামুন, আবু জাফর রিপন, সাবেক সদস্য নাজমুল হাই রায়হান, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রনেতা খন্দকার কাকন, এবাদুল হক পারভেজ প্রমুখ।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি যুবদলের ২৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি। এরপর ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করেন পদবঞ্চিতরা। আর ২৬ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে ভিক্টরি হোটেলে যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভার দিন গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।