বর্তমানে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দুই শিফট চালু রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এসব বিদ্যালয় এক শিফটে পরিণত করার সুপারিশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটি। একই সঙ্গে বাংলা ও গণিতে শিশু শিক্ষার্থীদের শক্ত ভিত তৈরিতে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭৫ মিনিটের ক্লাস চালুর সুপারিশ করা হয়।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টাকে এ সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন জমা দেয় পরামর্শক কমিটি। কমিটি প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে মোট ১৪টি সুপারিশ করেছে।
পরে বিকেল ৫টায় এ নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। এসময় পরামর্শক কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
সুপারিশে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষার মূল লক্ষ্য হিসেবে শিশুদের বাংলা ও গণিতের ভিত্তিমূলক দক্ষতা অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলা শুধু একটি বিষয় নয়, এটি অন্য সব বিষয়ে প্রবেশের চাবিকাঠি। গণিতে মৌলিক দক্ষতা অর্জিত না হলে শিক্ষার্থীরা শিখনে ক্রমাগত পিছিয়ে থাকবে। এজন্য প্রতিদিন এ দুটি বিষয়ে ৬০ থেকে ৭৫ মিনিট করে শিক্ষণ-শিখন সময় নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
দুই শিফট বাদ দিয়ে এক শিফটের স্কুল করার ওপর জোর দিয়ে সুপারিশে বলা হয়েছে, শিখন সময় বৃদ্ধির জন্য সকল বিদ্যালয়কে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এক শিফটের স্কুলে পরিণত করা প্রয়োজন। পঞ্চম প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কার্যক্রমে (পিইডিপিএস) অন্তত ৫০ শতাংশ বিদ্যালয়ে এবং ১০ বছরের মধ্যে সকল বিদ্যালয়ে এক শিফট চালু করা যেতে পারে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত অনূর্ধ্ব ১:৩০, অর্থাৎ প্রতি ৩০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক নিশ্চিত করা দরকার।
সুপারিশ প্রতিবেদনের শেষাংশে বলা হয়, শিক্ষা সংস্কারের জন্য কোনো সহজ জাদু সমাধান নেই। প্রস্তাবিত সুপারিশ নিয়ে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সময়াবদ্ধ সমন্বিত বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। পঞ্চম প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কার্যক্রম ও সরকারের বার্ষিক বাজেট হবে সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রধান বাহন। আরটিভি