News update
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     

শিশু অধিকার সুরক্ষায় গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নের তাগিদ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2022-06-28, 8:44am




পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. সামসুল আলম বলেছেন, শিশুর সার্বিক সুরক্ষা ও অধিকার আদায়ে সরকার গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে। তিনি সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক বাজেট আলোচনায় একথা বলেন। 

‘জাতীয় বাজেটে শিশুর জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ নিশ্চিত করা জরুরী’ শীর্ষক এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজক চিলড্রেন এফেয়ার্স জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক (সিএজেএন) ও আরবান প্রোগ্রাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শবনম জাহান শীলা, এমপি এবং দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল আলম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর ডেপুটি ডিরেক্টর (ফিল্ড প্রোগ্রাম অপারেশনস) মঞ্জু মারিয়া পালমা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সিএজেএন এর সভাপতি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজা জেসমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার জোয়ান্না ডি রোজারিও এবং  সিএজেএন এর যুগ্ম সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদক ও মহিলা অঙ্গনের সম্পাদক রাবেয়া বেবী।   

ড. শামসুল আলম বলেন, মহিলা ও শিশু খাতে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ’র ৮০ শতাংশের বেশি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। কাজেই, বরাদ্দ বৃদ্ধির চেয়ে বাজেট বাস্তবায়নের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, সামাজিক সংগঠনসহ সবাইকেই কাজ করতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ঝরে পড়াকে তিনি বড় সমস্যা উল্লেখ করে বলেন, কোভিড-১৯’র কারণে ঝরে পড়াদের ব্যাপারে বাজেটে আরো গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জনকল্যানমূলক কর্মসূচি হিসাবে সরকার সবার জন্য পেনশন সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে। সামনে বেকার ভাতা চালু হবে। তিনি বলেন, এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকল সূচকে আমরা ভারত-পাকিস্তান থেকে এগিয়ে আছি।


মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য শবনম জাহান শিলা, এমপি শুধু সরকারের সমলোচনা না করে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

দৈনিক যুগান্তর’র সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, শিশুদের জন্য আলাদা শিশু মন্ত্রণালয় থাকা দরকার। তিনি শিশুদের সুকুমার বৃত্তির বিকাশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির চেয়ে বাজেট বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে। অর্থ অপচয় রোধ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির মানসম্পন্ন  বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

উন্মুক্ত আলোচনায় দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক বলেন, দেশের ৬ কোটি ৬০ লক্ষ শিশুর জন্য পর্যাপ্ত বাজেট নেই। শিশুর সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ও সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখতে হবে।

কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের প্রেসিডিয়াম সদস্য মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, সারাদেশে পানিতে ডুবে মরা রোধ করতে সরকারের একটি কর্মসূচি আছে, কিন্তু এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমাদের দেশে মেয়ে শিশুদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যাবহার বিশ্ব মানদন্ডের অনেক নীচে। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান।

গাজী টিভির প্রধান প্রতিবেক রাজু আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে দেশে জোরালো সাংস্কৃতিক আন্দোলন জরুরী। এজন্য শিশুদের জন্য সৃজনশীল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। তিনি করোনায় বাল্য বিবাহের শিকার ঝরে পড়াদের জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করেন।

ডেইলি অবজারভারের বিশেষ প্রতিনিধি শাহনাজ বেগম আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, জাতীয় বাজেটে এবছর শিশুদের জন্য বরাদ্দ গত অর্থবছরের তুলনায় কমেছে। করোনা পরবর্তী শিশুদের পুষ্টি নিয়ে বাজেটে সরকারের কোন  উদ্যেগ নেই। তিনি সরকারকে এ বিষয়ে নজর দেয়ার আহ্বান জানান। 

আলোচনায় অংশ নেন নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে কর্মরত শিশু-কিশোররা। তারা শিশু সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ, শিশু বান্ধব নগর পরিকল্পনা, শিক্ষা কারিকুলামে মানসম্মত সৃজনশীল সাহিত্যের পাশাপাশি লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতির পাঠ ও চর্চ্চা বৃদ্ধির জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির সুপারিশ করেন। শিশু প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ইউনিক ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি সজিব মিয়া, লোকসাহিত্য বিষয়ক পত্রিকা গাঙঢুফীর কিশোর বিভাগের সম্পাদক বর্ণিল মূর্চ্ছনা, শিশু ফোরামের সদস্য ইভা মনি ও মইনুদ্দিন তুহিন।  তথ্য সূত্র বাসস।