News update
  • Dhaka Urges Clear Outcome from Upcoming Rohingya Talks     |     
  • Khulna falls short of jute output target for lack of incentives     |     
  • UNRWA Report on the Humanitarian Crisis in Gaza & West Bank     |     
  • Rail link with Khulna cut off as train derails in Chuadanga     |     
  • 3 killed, 10 injured in Pabna Bus-truck collision     |     

ইয়েমেনে হুথিদের ওপর নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2024-01-23, 3:22pm

dhdhdh-b8010006c6de0fb3da56fb4dfc44548b1706001787.jpg




ইয়েমেনে হুথিদের ওপর যৌথভাবে একটি নতুন সিরিজ বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ।

পেন্টাগন জানিয়েছে, সোমবারের এ হামলায় আটটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। যার মধ্যে একটি ভূগর্ভস্থ স্টোরেজ সাইট এবং হুথিদের মিসাইল এবং নজরদারি প্রযুক্তিও।

ইরান সমর্থিত হুথিরা লোহিত সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুট দিয়ে চলাচলকারী ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের পণ্য পরিবহনকারী জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা “মুক্ত বাণিজ্যের ধারা” কে সুরক্ষি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

একটি যৌথ বিবৃতিতে পেন্টাগন হুথিদের বিরুদ্ধে ‘সংযোজিত ও প্রয়োজনীয় হামলা’র কথা নিশ্চিত করেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “উত্তেজনা কমানো এবং লোহিত সাগরে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে আমাদের লক্ষ্য অটুট আছে। কিন্তু হুথি নেতৃত্বের প্রতি সতর্কতা পুনর্ব্যক্ত করতে চাই: ক্রমাগত হুমকির মুখে থাকা বিশ্বের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ জলপথে জীবন ও বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ রক্ষায় আমরা দ্বিধা করবো না।”

এটা ইয়েমেনে হুথি লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের অষ্টম হামলা এবং গত ১১ই জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের সাথে যৌথ হামলা শুরুর পর দ্বিতীয় যৌথ অভিযান।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হামলায় অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডসের সমর্থন রয়েছে।

সোমবারের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএস আইজেনআওয়ার যুদ্ধজাহাজ বহরের যুদ্ধবিমানগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্স (এমওডি) জানিয়েছে, এক জোড়া ভয়েজ ট্যাংকারের সহায়তায় চারটি আরএএফ টাইফুন যুদ্ধবিমান যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর সাথে যোগ দিয়েছে।

অভিযান পরিচালনাকারী স্থানগুলো থেকে লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক পণ্যপরিবহনে ধারাবাহিক ও অগ্রহণযোগ্য আক্রমণ হয়ে আসছে বলে জানিয়েছে এমওডি।

“যুক্তরাজ্যের স্ট্যান্ডার্ড প্রাকটিসের ধারা অব্যাহত রেখে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এই হামলা পরিকল্পনা করা হয় যেন বেসামরিক নাগরিক মৃত্যুর এড়ানো যায়। এই ধরনের ঝুঁকি এড়াতে আগের হামলাগুলোতে আমাদের বিমানগুলো রাতে বোমা নিক্ষেপ করে”, যোগ করেছে এমওডি।

ইউকে ডিফেন্স সেক্রেটারি গ্রান্ট শ্যাপস হুথিদের বিরুদ্ধে এই হামলাকে বাণিজ্য জাহাগুলোতে ‘অসহনীয় আক্রমণের’ বিরুদ্ধে ‘আত্ম-প্রতিরক্ষা' বলে বর্ণনা করেছেন।

তিনি এক্স এ লিখেছেন, “হুথিদের সক্ষমতা কমানোর লক্ষ্যে নেয়া এই পদক্ষেপ তাদের সীমিত মজুদ ও বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর হুমকির সক্ষমতায় আরেকটি বড় আঘাত।”

এটা বুঝা যাচ্ছে যে নতুন এই হামলার বিষয়ে ইউকে কমন্সের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল বা বিরোধী নেতা স্যার কাইর স্টার্মারকে আগেভাগে জানানো হয়নি।

হুথিদের পরিচালিত আল মাজিরাহ টিভি জানিয়েছে, ইয়েমেনের সানা, তাইজ এবং বায়দা রাজ্যে হামলা হয়েছে যার মধ্যে রাজধানী সানার নিকটস্থ আল দায়লামি বিমানঘাঁটিও রয়েছে।

সতর্কতার সাথে সুসজ্জিত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রথম দফার যৌথ বিমান ও মিসাইল হামলার দশদিন পরও হুথিদের বেপরোয়া মনোভাব অব্যাহত আছে।

ইয়েমেনের উপকূল অতিক্রমকারী জাহাজে তারা বিভিন্ন ধরনের নিক্ষেপণ অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে রাশিয়ান তেল বহনকারী একটি জাহাজ ভুলবশত লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

হুথিদের নিক্ষেপণ সাইটগুলোতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে হামলা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত নতুন অভিযান ‘অপারেশন পসেইডন আর্চার’-র অধীনে এখন নতুন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হচ্ছে।

পেন্টাগন বলেছে, উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত এমন মিসাইল এসব অভিযানে ধ্বংস করা হয়েছে । পশ্চিমা গোয়েন্দাদের সাম্প্রতিক হিসাব বলেছে, হুথিদের অন্তত ৩০ শতাংশ মিসাইলের মজুদ ধ্বংস বা ভূপাতিত হয়েছে।

যদিও ইরানের কাছে থেকে অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ পেয়ে আসা হুথি বিদ্রোহীরা এখনও ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সাথে সম্পর্কিত পণ্য পরিবহনে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার দিকেই ঝুঁকে আছে।

তাদের এই অবস্থান ইয়েমেনে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে যেখানে তাদের কঠোর শাসনে অনেকে ক্রুদ্ধ।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান সমর্থিত ‘এক্সিস অফ রেসিন্ট্যান্স’এর অংশ হিসেবে হামাসকে সমর্থনের কথা বলে হুথিরা আরব বিশ্বেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের আলাপচারিতার পর এই অভিযান পরিচালিত হলো।

আলাপচারিতার বিষয়ে হোয়াইট হাউজের তরফে বলা হয়েছে, লোহিত সাগরে বিভিন্ন বাণিজ্য জাহাজে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের হামলার বিষয়ে আলোচনা করেছেন বাইডেন ও সুনাক। এ সময় তারা এ নৌপথে ‘অবাধ জাহাজ চলাচল, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অগ্রহণযোগ্য হামলা থেকে নাবিকদের রক্ষায়’ নিজেদের অঙ্গীকার আবারও পুনর্ব্যক্ত করেন।

এতে আরো যোগ করা হয়েছে, “প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী গাজার মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা ও বেসামরিক সুরক্ষা বাড়ানো এবং হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্ত করার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন”।

নভেম্বরে হুথিরা বাণিজ্য জাহাজে হামলা শুরু করে এই বলে যে তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক স্থল অভিযানের জবাব দিচ্ছে।

তখন থেকে গ্রুপটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত পণ্য পরিহন রুট লোহিত সাগর অতিক্রমকারী বাণিজ্য ট্যাঙ্কারগুলোতে ডজন-কয়েক আক্রমণ চালিয়েছে।

এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ১১ই জানুয়ারি থেকে হুথিদের কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা করা শুরু করে।

হুথিরা এই অঞ্চলে হামলা থামানোর আলটিমেটাম উপেক্ষা করায় এই হামলা শুরু হয় যাতে সমর্থন আছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, নেদারল্যান্ড এবং কানাডার। বিবিসি নিউজ