News update
  • Air ambulance carrying bullet-hit Hadi flies for Singapore     |     
  • Can Dhaka’s arms recovery drive ensure peaceful polls?     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Monday morning     |     
  • BD peacekeepers' deaths: UN chief calls Dr. Yunus, offers condolence     |     
  • Bangladesh Plans Rockets, Satellites, and Space Industrial Park     |     

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা, সব পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জার্মানির

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2024-04-12, 1:04pm

iran-israel-603cc58b3a58fe3071e609ad4febbc601712905473.jpg




ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কে নতুন করে প্রবল উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইরানের অভিয়োগ, সিরিয়ায় তাদের দূতাবাসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই জেনারেলসহ বিপ্লবী গার্ডের সাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এরপর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।

এ পরিস্থিতিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে। তিনি ইরানকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

পরে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সবার স্বার্থে ওই অঞ্চলে সংঘাত আর বাড়ানো উচিত নয়। আমরা ওই অঞ্চলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন সর্বোচ্চ সংযম দেখান এবং দায়িত্বশীল আচরণ করেন।’ 

এ ছাড়া চিলির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলবার্তো ভ্যান ক্ল্যাভারেন স্টর্কের সঙ্গে বৈঠকের পর জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক বলেন, ‘আর কাউকে আগুনে ঘি ঢালতে দেওয়া উচিত হবে না। পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হওয়াটা কাঙ্ক্ষিত নয়।’

বেয়ারবক বলেন, তিনি আমির আবদুল্লাহিয়ানকে জানিয়ে দিয়েছেন, ওই অঞ্চলে সব পক্ষকেই চূড়ান্ত সংযমের পরিচয় দিতে হবে।

জার্মানির বিমানসংস্থা লুফৎহানসা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজক অবস্থার কথা মাথায় রেখে শনিবার পর্যন্ত তারা তেহরানে বিমান চালাবে না।

এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির ওই বক্তব্যের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, দেশকে রক্ষা করার জন্য তারা প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি আমাদের ক্ষতি করতে চায়, তাহলে আমরাও দেশের স্বার্থে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তৈরি।’

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, ‘ইসরায়েল বিভিন্ন পরিস্থিতির মোকাবিলায় সম্পূর্ণভাবে তৈরি আছে। বেসামরিক মানুষকেও আলাদা করে কোনো প্রস্তুতি নিতে হবে না।’

অন্যদিকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগিরি বলেন, ইসরায়েল থেকে উত্তর গাজায় ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর জন্য সীমান্ত খুলে দিতে তারা রাজি। উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেট ভবনে ইসরায়েলি হামলায় সাত কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডস। এলিট কুদস বাহিনীটির সিনিয়র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ও তার সহকারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাদি হাজি-রহিমি নিহতদের মধ্যে রয়েছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ায় ইরানের সঙ্গে জড়িত এবং তাদের সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে শত শত হামলা চালানোর কথা অবশ্য স্বীকার করে ইসরায়েলি বাহিনী। সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীকে বিপ্লবী গার্ড অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণ দেয় বলে অভিযোগ ইসরায়েলের। গত বছরের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহ এবং লেবানন ও সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর আন্তঃসীমান্ত হামলার প্রতিক্রিয়ায় উত্তর ইসরায়েলের পাল্টা হামলা জোরদার করেছে। ডয়চে ভেলে।