News update
  • Man held for tying, beating up youth on theft suspicion in Gazipur     |     
  • Sajid (2) lifted after 32 hrs from deep Rajshahi well, not alive     |     
  • Spinning sector seeks urgent govt step to prevent collapse     |     
  • Dilapidated bridge forces Lalmonirhat residents to risk life daily     |     
  • High-level consultation to shape BD climate finance strategy     |     

২৫ উপজেলায় উচ্চ পানি সংকট, যে পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জীববৈচিত্র 2025-09-17, 6:02pm

174f2bbc04bfcac39cec42fc573a0aa0f27a1b0b60d8c92e-1b4e212e851696789df5ccd41886d0721758110536.jpg




রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর তিন জেলার ২৫টি উপজেলায় উচ্চ পানি সংকটাপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এই উপজেলাগুলোতে খাবার পানির পাশাপাশি দেখা দিয়েছে সেচের পানির সংকট। সংকট উত্তরণে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণ করে তা ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

সরেজমিনে রাজশাহীর তানোর উপজেলার মাহালীপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাওলিনা মার্ডি এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পাম্পের সামনে বসে আছেন বিশুদ্ধ খাবার পানির অপেক্ষায়। এ ছাড়া গৃহস্থলীর কাজে ব্যবহারের জন্য পানি নিতে কলস হাতে অনেকে নারী ছুটে বেড়াচ্ছেন দূর-দূরান্তে। তাই আশপাশের ৫টি গ্রামের মানুষের জন্য দিনে ২ ঘণ্টা পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে একটি বেসরকারি এনজিও। পানি নিতে বাড়ি প্রতি মাসে ৫০ টাকা দিতে হয় তাদের।

জানা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, কম বৃষ্টিপাত, দীর্ঘস্থায়ী খরা ও ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণে পানির স্তর ক্রমশ নামছে নিচে। গত বছরের গ্রীষ্মে রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ী এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমেছে ১১৪ ফুট পর্যন্ত। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর গড়ে ৪ ফিট নিচে নেমে গেছে। ফলে তিন জেলার ২৫টি উপজেলাকে উচ্চ পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বরেন্দ্রের প্রায় ৬০০ গভীর নলকূপ ও মিনি ডিপ টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে সেচের সংকটও।

ওয়াটার রিসোর্স প্ল্যানিং অর্গানাইজেশনের গবেষণার তথ্যমতে, রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের ৭১ ভাগ এলাকা মাঝারি, উচ্চ ও অতিউচ্চ পানি সংকটাপন্ন।

তাই ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমিয়ে নদী, খাল ও পুকুর খনন করে ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণ করে তা ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেচ শাখার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. আবুল কাশেম।

এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর চৌধুরী সারোয়ার জাহান সজল বলেন, চলতি মৌসুমে এই অঞ্চলে গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে তিন হাজার ২০০ মিলিমিটার। তাই বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে তা কাজে লাগানোর পাশাপাশি অধিক সেচনির্ভর ফসলের পরিবর্তে কম সেচের ফসল আবাদের পরামর্শ দেন তিনি।

গবেষণার তথ্যে মতে, ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির গড় স্তর ছিল ২৬ ফুট নিচে। খাওয়ার পানি ছাড়াও কৃষিজমিতে সেচ এবং মাছ চাষে অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করায় ২০১০ সালে পানির গড় নিম্নস্তর ছিল ৫০ ফুট।

২০২১ সালে ভূগর্ভস্থ পানির গড় নিম্নস্তর আরও নিচে নেমে দাঁড়ায় ১০০ ফুটে, যা ২০২৫ সালে ঠেকেছে ১১৮ ফুট।