News update
  • 2025: Resilient Economies, Smart Development, and More Jobs      |     
  • Dhaka rejects India's statement on incident at BD HC residence, New Delhi      |     
  • Stocks end lower; trading falls at DSE, improves at CSE     |     
  • No need to be kind to election disruptors: EC to law enforcers     |     
  • No Media Faced Arson Attacks in 53 Years: Mahfuz Anam     |     

ভোলায় ৭১ লাখ ম্যানগ্রোভ বনায়নের কাজ চলছে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক: Districts 2022-02-06, 3:52pm




জেলায় চলতি আর্থবছরে ১ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে প্রায় ৭১ লাখ ম্যানগ্রভ বনায়নের কাজ চলছে।

সমুদ্র উপকূলবর্তী নতুন জেগে উঠা চরাঞ্চলে স্থানীয় বন বিভাগের উদ্যেগে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব বনায়ন করা হচ্ছে। 

সূত্র জানায়, বঙ্গপোসাগরে জেগে উঠা নতুন চরসহ উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন শির্ষক প্রকল্প’র মাধ্যমে ৭৯০ হেক্টর জমি ও বিশ্ব ব্যংকের অর্থায়নে টেকসই বন ও জীবিকা প্রকল্পের আওতায় ৮০০ হেক্টর জমিতে বনায়ন চলছে। কেওড়া, গেওয়া, বাইনসহ বিভিন্ন ম্যানগ্রভ প্রজাতির সবুজের সমারহের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় প্রকৃতিতে সক্ষমতা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। 

এছাড়া জেলায় প্রায় দেড় লাখ একর জমিতে ম্যানগ্রভ বনায়ন রয়েছে।

ভোলা বন বিভাগ সূত্র জানায়, এসব বনায়নের মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলার ১২টি নতুন চরে ৯০০ হেক্টর জমি, তজুমদ্দিনের ৪ টি চরে ৪৪০ হেক্টর, মনপুরার ৬ টি চরে ২০০ হেক্টর ও দৌলতখানের ৩টি চরে ৫০ হেক্টর জমি রয়েছে। 

সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বনায়নের মৌসুম ধরা হয়। কারণ নতুন এসব জেগে উঠা চর বর্ষাকালে পানির নিচে থাকে তাই বনায়ন করা যায়না। শুস্ক সময়টা আদর্শ সময় বনায়নের। ফলে নতুন জেগে উঠা এসব চরের স্থায়িত্ব বাড়ে ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে কল্যাণ বয়ে আনে।

এ ব্যাপারে ভোলার বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস. এম কায়সার বাসস’কে বলেন, সাধারণত নতুন জেগে উঠা চরে বৃক্ষ রোপণ না করা হলে চর পরিপূর্ণভাবে জেগে উঠেনা ও মাটি শক্ত হয়না। তাই কাঁদা-মাটিতে একদম প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা চারা রোপণ করি। ইতোমধ্যে এসব বনায়নের কাজ শেষের পথে। এ লক্ষ্যে আমাদের নিয়মিত মনিটরিং চলছে। পরবর্তিতে এসব চরে গোলপাতা, সুন্দরীসহ আরো বিভিন্ন প্রজাতির বনায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন অঞ্চলের চর কুকরী-মুকরী, চর জহিরউদ্দিনসহ বিভিন্ন অঞ্চলে রোপণকৃত গাছ বর্তমানে অনেক বড় হয়েছে। এসব গাছ প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে ভোলাবাসীকে রক্ষা করছে। মূলত সরকারের সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বন বিভাগ কাজ করছে বলে জানান তিনি।