News update
  • FIFA tweaks World Cup draw to keep top teams apart until Semis     |     
  • Korail slum families lose everything to devastating fire     |     
  • Recovered gold not only Hasina’s, but also family members’, says ACC     |     
  • Dhaka breaths ‘very unhealthy’ air Wednesday morning     |     
  • Referendum Ordinance, 2025 issued     |     

বাংলাদেশের কোকাকোলা কিনে নিচ্ছে তুর্কি কোম্পানি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-02-18, 4:37pm

kjrhewur8w9r-54f8a02ac828fc90a6b0f7b9419378d91708252696.jpg




কোকাকোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেড (সিসিবিবি) কিনে নিচ্ছে তুরস্কের কোকাকোলা আইসেক (সিসিআই)। আর এজন্য তুর্কি কোম্পানিটির খরচ হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকারও বেশি।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিসিআই।

আনুষ্ঠানিক ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৩ কোটি ডলারের বিনিময়ে সিসিআই কোকাকোলা বাংলাদেশ বেভারেজেসের শতভাগ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে। সিসিআই ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি।

ধারণা করা হচ্ছে, সিসিআই ইন্টারন্যাশনাল হল্যান্ড বিভি (সিসিআইএইচবিভি) এই অধিগ্রহণে নগদ অর্থায়ন করবে। সিসিবিবির কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঢাকায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর এই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার কথা।

ঘোষণা অনুযায়ী, সিসিআই তার সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি সিসিআইএইচবিভি ও কোকাকোলা কোম্পানির একটি সাবসিডিয়ারির সঙ্গে এই চুক্তি করেছে। যার প্রধান শেয়ারহোল্ডার হবে সিসিআইএইচবিভি।

সিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা করিম ইয়াহি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা কোকাকোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেড অধিগ্রহণের জন্য শেয়ার ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে আনন্দিত। এই চুক্তিকে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় বাজারে প্রবেশের দারুণ সুযোগ হিসেবে দেখছি আমরা।’

কোকাকোলা কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) ২০১৭ সালে ৭৪ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে ময়মনসিংহের ভালুকায় সিসিবিবির কারখানাটি স্থাপন করে ও অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে তোলে। নতুন চুক্তির মাধ্যমে সাত বছর পর ইস্তাম্বুলভিত্তিক কোম্পানিতে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে সিসিবিবি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কোমল পানীয়ের বাজার পরিধি ৪ হাজার কোটি থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোমল পানীয় প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান কোকাকোলা ও পেপসিকোর পাশাপাশি প্রাণ, আকিজ ও পারটেক্সের মতো বেশ কয়েকটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এই চাহিদা পূরণ করে।

সিসিআইয়ের মতে, ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের নন-অ্যালকোহলিক কোমল পানীয়ের বাজার ১২ শতাংশ বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কোকাকোলা ব্র্যান্ডের পণ্যই উৎপাদন, বিতরণ ও বাজারজাত করে থাকে সিসিআই। ১১টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে এই কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দেশগুলো হলো—তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান, আজারবাইজান, ইরাক, জর্ডান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, সিরিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান।

এদিকে বর্তমানে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চলের প্রায় দশ কোটি গ্রাহককে সেবা দিয়ে থাকে সিসিবিবি। তাদের তিন শতাধিক কর্মচারী, একটি বোতলজাত প্লান্ট ও তিনটি প্রধান গুদামসহ প্রায় তিন লাখ বিক্রয়কেন্দ্র আছে। এছাড়া ৫০০ ডিস্ট্রিবিউটর আছে তাদের। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।