News update
  • Storm Alert Issued for Dhaka and Eight Other Regions     |     
  • 58 killed in deadliest US strike on Yemen     |     
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     
  • Dhaka’s air quality recorded ‘unhealthy’ Friday morning     |     

অস্থিরতা কাটিয়ে স্বস্তি ফিরছে পোশাকশিল্পে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-09-25, 1:24pm

cucwucwu-be7fa13a594367ba636e67814e8baa521727249086.jpg




পোশাকশিল্পের চলমান অস্থিরতা কাটিয়ে উৎপাদনে ফিরেছে অধিকাংশ কারখানা। শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়ার মধ্য দিয়ে এ অসন্তোষের অবসান ঘটেছে। ফলে কাজে যোগ দিয়েছেন অধিকাংশ পোশাক কারখানার শ্রমিক। তবে বেতন-সংক্রান্ত জটিলতাসহ কিছু সমস্যা থাকায় ১৯টি কারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ, বাইপাইল, জামগড়া, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর, জিরাবো, ঘোষবাগ এলাকা ঘুরে সেখানকার কারখানাগুলোতে কাজে যোগ দিতে দেখা যায় পোশাকশ্রমিকদের।

শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম।

তিনি বলেন, অধিকাংশ কারাখানায়ই পোশাকশ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। তবে সাভার ও আশুলিয়ায় শ্রম আইন-২০০৬-এর ১৩ (১) ধারায় বন্ধ রয়েছে ১৪টি কারখানা। এ ছাড়া ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে বেতনসংক্রান্ত জটিলতাসহ কিছু সমস্যা থাকায় কারখানাগুলো বন্ধ রেখেছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। বন্ধ কারখানাগুলোর অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানা। তবে চামড়াজাত পণ্য, খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী কারখানাসহ অন্য তিন থেকে চারটি কারখানা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিজিএমইএ। তাই সকাল থেকেই পোশাক শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। আশুলিয়ার নরসিংহপুরে হা-মীম, শারমিন, নাসাসহ অনেকগুলো বন্ধ কারখানাতে উৎপাদন শুরু করেছে। তবে কয়েকটি পোশাক কারখানায় কর্মপরিবেশ পর্যবেক্ষণের জন্য এখনও বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া নিট ওয়্যার নামে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলেও পরে দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন।

এ দিকে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক টেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, গতকাল বৈঠক করে শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে দাবি মেনে নেওয়া ও কারখানায় শ্রমিকদের কাজে ফেরার জন্য গেটে নোটিস দেওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া আজকে মালিকপক্ষকে কারখানায় এসে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করার কথাও বলতে বলা হয়েছিল। যে সব কারখানায় মালিক পক্ষ আন্তরিক, সেসকল কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন।

এ ছাড়া কয়েকটি পোশাক কারখানা এখনো নোটিস না দিয়ে বন্ধ করায় ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় না বসার কারণেই আজও কারখানায় উৎপাদন শুরু করতে পারেনি বলে জানান তিনি। আরটিভি/