News update
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     
  • Storm Alert Issued for Dhaka and Eight Other Regions     |     
  • 58 killed in deadliest US strike on Yemen     |     
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     

পণ্যের লাগামহীন দামে দিশেহারা খেটে খাওয়া মানুষ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-12-13, 9:05am

b39f1d1708413c3439d21615c5c53a160e930f5012ac547b-0f01fedea7b7a4dbc5c33f2e3a2010b31734059110.jpg




পণ্যের বাজারে যখন আগুন, তখন শ্রম বিক্রি করে জীবনযাপন করা মানুষকে ফিরতে হচ্ছে একরকম খালি হাতে। এভাবে পরপর দুদিনেই দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছেন তারা। শ্বেতপত্র কমিটি এমন তথ্য দিয়ে বলছে, দরিদ্র এ জনগোষ্ঠীর জন্য যে সামাজিক কর্মসূচি চালু আছে, তাতে ৭৩ ভাগই ভুয়া সুবিধাভোগী। তাই চলমান কর্মসূচিকে ঢেলে সাজানো এবং বৈষম্য কমানোর ওপর জোর দিচ্ছেন অথনীতিবিদরা।

দিনমজুর মোহাম্মদ নাঈম। দিনের আলো ফোটার পরপরই রাস্তার এক কোণে বসে অপেক্ষা করেন একদিনের জন্য শ্রম বিক্রি করার। বাজারে জিনিসপত্রের দামের আগুনে হাত যেন পুড়ছে ক্রেতার। তবে শ্রম বিক্রি করতে আসা এ বাজারে নাঈমের দাম কেবলই কমতির দিকে। তবুও সবদিন পান না কাজ; থাকতে হয় কর্মহীন। তিনি বলেন, একদিন কাজ পেলে আরেকদিন পাওয়া যায় না। অলস দিন পার করতে হয়। এতে সংসার চলে না।

ভোর হলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কাজের অপেক্ষায় থাকেন নাঈমের মতো শত শত মানুষ। এরা একদিনে যা আয় করেন, তা দিয়ে টেনেটুনে মোটামুটি পার হয়ে যায় দাদের দারিদ্র্যসীমা। তবে শ্বেতপত্র কমিটি বলছে, এমন মানুষ যদি দুদিন আয় করতে না পারে, তাহলে নেমে যান দারিদ্র্যসীমার নিচে। কিন্তু এসব মানুষের বেশিরভাগই বর্তমানে কাজ পাচ্ছেন না ৫-৬ দিন ধরে।

তারা বলেন, বর্তমানে কাজকর্ম একদম নেই বললেই চলে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে এসে এ প্রবণতা আরও বেড়েছে। এরওপর বাজারে লাগামহীন বাড়ছে পণ্যের দাম। ফলে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে আছে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি। সেখানেও শুভংকরের ফাঁকি। শ্বেতপত্র প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ সাল পর্যন্ত এ কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে ৭৩ শতাংশই ভুয়া। আবার তারা যা পাচ্ছেন, সেটাও প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৩৬ হাজার ৫৮০ কোটি টাকাই অবসরভাতার জন্য বরাদ্দ। সামাজিক সুরক্ষাখাতে একজন বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী যখন ভাতা পান মাত্র ৫০০-৮০০, তখন একই খাতে মোটা অঙ্কের টাকা চলে যায় সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিজীবী এবং বিভিন্ন ধরনের অবসরভাতায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করা মানুষের সংখ্যা কমাতে বাড়াতে হবে কর্মসংস্থানের সুযোগ। আর ভুয়া সুবিধাভোগী ঠেকাতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিকে ঢেলে সাজানো দরকার।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু ইউসুফ বলেন, সামাজিক সুরক্ষা খাতের কর্মসূচিগুলো পুনরায় রিভিউ করে ভুয়া সুবিধাভোগীদের বাদ দিতে হবে। তা নাহলে যাদের আসলেই প্রয়োজন, তারা বঞ্চিতই থেকে যাবেন।

দেশে দারিদ্র্য পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে ধনী-গরিব বৈষম্যের প্রকট চিত্র। শ্বেতপত্রের প্রতিবেদন বলছে, ১০ শতাংশ ধনীর হাতেই দেশের ৮৫ শতাংশ সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে আছে। সময়।