News update
  • 2025: Resilient Economies, Smart Development, and More Jobs      |     
  • Dhaka rejects India's statement on incident at BD HC residence, New Delhi      |     
  • Stocks end lower; trading falls at DSE, improves at CSE     |     
  • No need to be kind to election disruptors: EC to law enforcers     |     
  • No Media Faced Arson Attacks in 53 Years: Mahfuz Anam     |     

পেইন কিলার ওষুধে আসক্তি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ওষুধ 2023-10-04, 9:24am

01000000-0aff-0242-d309-08dbc444a569_w408_r1_s-f8ec1b84ea3177d8333f8c96197212191696389845.jpg




সম্প্রতি এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, ভারতীয়রা পেইন কিলারে মারাত্মকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছেন যার থেকে তাদের মধ্যে নানারকম অসুখবিসুখ বাড়ছে।

দিল্লি এইমসের ন্যাশনাল ড্রাগ ডিপেন্ডেন্স ট্রিটমেন্ট সেন্টারের (NDDTC) বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ১০-১৫ বছর ধরে পেইন কিলারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় নানা রোগ হচ্ছে ভারতীয়দের।

চিকিৎসকদের মতে, নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গোত্রের ওষুধ একদিকে যেমন দ্রুত শরীরের প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন কমাতে পারে, তেমনিই এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও অনেক আছে।

ডাইক্লোফেনাক, অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন ইত্যাদি এনসেড গোত্রের ওষুধের মধ্যে পড়ে। প্যারাসিটামলও ব্যথা কমাতে পারে তবে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এনসেড ওষুধগুলোর মতো নয়। এই ওষুধে আরও দ্রুত কাজ দেয়, তাই রোগীরা বেশি পছন্দ করে। সাইড এফেক্টসের কথা তখন মাথায় থাকে না।

এইসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই মারাত্মক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাপ্তবয়স্করা নানা রোগ বা শারীরিক কোনও জটিলতার জন্য এমন কিছু ওষুধ খান যার ‘অ্যাডভার্স সাইট এফেক্টস‘-এ শরীরে ডিহাইড্রেশন তৈরি হয়। শরীরে জল ও খনিজ লবনের মাত্রা কমে যায়। হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে, হার্ট ফেলিওর হতে পারে। আলসার থাকলে এই ধরনের ওষুধ না খাওয়াই ভাল। হৃদযন্ত্রে সমস্যা যাদের রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ব্যথার ওষুধ বেশ বিপজ্জনক।

আইবুপ্রোফেন যেমন ব্যথায় আরাম দেয়, তেমনি এটি বেশি খেয়ে ফেললে এবং নিয়ম করে খাওয়ার অভ্যাস করে ফেললে সমূহ বিপদ। প্রথমত, ওই ওষুধ রোজ খেলে ডায়েরিয়া হতে বাধ্য। এনসেড গোত্রের যে কোনও ওষুধই পেটের গোলমাল বাঁধাতে পারে। গ্যাসট্রোইন্টেস্টিনাল সমস্যাও হয় অনেকের। হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির রোগ এমনকি লিভার টক্সিসিটি হতে পারে। শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে।

পেইন কিলার আবার ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস করে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ যারা বিষণ্ণতায় ভুগছেন এবং অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট গ্রহণ করছেন, তারা ঘন ঘন ব্যথা নাশক ওষুধ খাবেন না।

অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন এবং নেপ্রোক্সেন-এর মতো পেইন কিলার রক্ত পাতলা করে দেয়। যাদের রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা এবং হার্টের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এই ওষুধগুলি উপকারি হতে পারে। তবে যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাদের যে কোনও ব্যথা নাশক ওষুধ(NSAIDs) এড়িয়ে চলা উচিত। এতে রক্ত বেশি পাতলা হয়ে যেতে পারে এবং অত্যধিক রক্তপাত হতে পারে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।