কানাডার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ভারত কানাডাকে তার ৬২ জন কূটনীতিকের মধ্যে ৪১ জনকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে।
উভয় দেশ একে অপরের সিনিয়র কূটনীতিকদের বহিষ্কারের পর ভারত মঙ্গলবার এই পদক্ষেপ নেয়। এ নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন করে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরের কাছে বসবাসকারী ভারতীয় প্রবাসী হরদীপ সিং নিজার হত্যায় ভারতীয় জাতীয়তার কোনো ব্যক্তির জড়িত থাকার “বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ” রয়েছে বলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করার পরে এই বহিষ্কার করা হয়েছে। ভারত কোনো প্রকার অন্যায় কার্যক্রমের দায় অস্বীকার করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেন, ১৯৮০-এর দশকে দেশকে নাড়িয়ে দেয়া শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে নিজারের ভূমিকা তাকে সন্ত্রাসবাদী করে তোলে।ওই আন্দোলনে খালিস্তান নামে একটি স্বাধীন জাতি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। নয়াদিল্লি দীর্ঘদিন ধরে অটোয়ার বিরুদ্ধে খালিস্তানপন্থী উগ্রবাদীদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ করে আসছে।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র ভারতে কানাডিয়ান কূটনীতিকদের সংখ্যা সীমিত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, কানাডায় ভারতের অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যক কূটনীতিক রয়েছেন।
ট্রুডো সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, কানাডা “উস্কানি বা উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে চাইছে না।”
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন এবং বলেছেন, বৈঠকে কানাডা-ভারত সম্পর্কের বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে।
ব্রুস হেইম্যান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে কানাডায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি বলেন, “বাস্তবতা হলো আমাদের উত্তেজনা হ্রাসের পথ খুঁজে বের করতে হবে এবং সম্ভবত কানাডার মিত্ররা এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।” তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।