News update
  • OIC Condemns Execution of Medical, Humanitarian Personnel by Israel     |     
  • Calamity could be game-changer that leads to peace in Myanmar     |     
  • World Health Day: Focuses on women’s physical, mental health     |     
  • Gaza Strike: 'No Work, No School' Nationwide Monday     |     
  • Bangladesh to Write to US Over Tariff in 48 Hours     |     

গুমবিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করায় বাংলাদেশকে স্বাগত জানাল জাতিসংঘ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2024-08-31, 6:50am

volker_turk-1-9928dd633f78a211b2dbcea79e3dc8c61725065453.jpg




জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক গুমের হাত থেকে সব ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করায় বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা সামদাসানি আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বলপূর্বক গুমের ইস্যুটি নিয়ে বাংলাদেশের একটি দীর্ঘ ও বেদনাদায়ক ইতিহাস রয়েছে। এ নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর ও জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বার বার কথা বলে আসছে।’

গুম থেকে সব ব্যক্তির সুরক্ষা দিতে ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক সনদ গৃহীত হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল বৃহস্পতিবার গুম থেকে সব ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সনদে সই করেছিলেন।

রাভিনা সামদাসানি বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে  পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন করায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারও বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা কমিশনকে এ কাজে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছি, যা ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলোচনা-পরামর্শ এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে নির্দেশনামূলক নীতিমালা ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে।’ 

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবন, জবাবদিহিতা ও পুনর্মিলন এবং বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী  সরকার ও জনগণকে সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছে।

মুখপাত্র আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন সত্য অনুসন্ধান মিশন পরিচালনায় ভলকার তুর্ককে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মানবাধিকার  বিষয়ে  জাতিসংঘ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে একটি তদন্ত দল পাঠানো হবে। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অপব্যবহার সম্পর্কে প্রতিবেদন তৈরি, মূল কারণ বিশ্লেষণ এবং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার অগ্রগতি সাধন এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য সুপারিশমালা পেশ করবে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনী জাতিসংঘ এ তদন্ত দলটিকে এর কাজে পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে অঙ্গীকার করেছে। বাসস নিউজ।