সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তারা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নানা বিষয়ের পাশাপাশি গাজা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। খবর আল জাজিরার।
সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, তারা ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জনের প্রচেষ্টা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
প্রায় ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর ফিলিস্তিনের গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি চলছে। এই অবকাশে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন লাখ লাখ উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি। ধ্বংসস্তূপে রূপ নেয়া গাজাকে তারা নতুন করে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন।
কিন্তু গাজা নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। ফিলিস্তিনিদের মাতৃভূমি এই এক চিলতে ভূখণ্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের দখলে নেয়ার পরিকল্পনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলছেন, গাজাবাসীকে মিশর ও জর্ডানের মতো দেশগুলোতে স্থানান্তর করে গাজা পুনর্গঠন করা হবে।
শুধু তাই নয়, মিশর ও জর্ডান ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করতে না চাইলে তাদের জন্য পরিণতি হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই পরিকল্পনায় সায় জানাচ্ছেন ইসরাইলি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তবে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করার এই পরিকল্পনা আরব বিশ্বকে ক্ষুব্ধ করেছে। আরব নেতারা এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই সঙ্গে গাজার পুনর্গঠনে নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন। এমন প্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য শুরু করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও।
এ মার্কিন কূটনীতিক প্রথমে ইসরাইলে যান। গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে তিনি তেল আবিব পৌছান। এরপর রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠক করেন। নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরানোর ট্রাম্পের যে পরিকল্পনা তা এগিয়ে নিতেই রুবিওর ইসরাইল সফর।
ইসরাইল থেকে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরব যান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও। এরপর রাজধানী রিয়াদে প্রথমে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান এবং এরপর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
যুবরাজ বিন সালমানের সঙ্গে রুবিওর বৈঠকের ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও গাজা নিয়ে এমন বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন যা আঞ্চলিক নিরাপত্তায় অবদান রাখে।
ব্রুস আরও বলেন, দুই নেতা গত মাসে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং সিরিয়া, লেবানন ও লোহিত সাগর নিয়েও আলোচনা করেছেন। তথ্য সময়।