News update
  • JS polls to be held by February 15: Shafiqul Alam     |     
  • Myanmar Faces War, Disasters, Hunger, and Mass Displacement     |     
  • UN Warns Israeli Doha Strike Risks Regional Escalation     |     
  • Nepal protesters' families seek justice amid confusion     |     
  • Next polls in Feb "foundational” to set future course of BD     |     

কলাপাড়া উপকূলে কৃষিতে সাড়া ফেলেছেন আদিবাসী রাখাইন মংখেলা

কৃষি 2025-08-17, 10:17pm

rakhine-mongkhela-of-kalapara-0036350022095d53478d966b039282cc1755447429.jpg

Rakhine Mongkhela of Kalapara



পটুয়াখালী: খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্নতা অর্জনে পটুয়াখালীর কলাপাড়া শহরতলী থেকে গ্রামীন এলাকার মাঠ পর্যায়ে কৃষি কাজে মানুষকে আগ্রহী করে তুলছেন কৃষি বিভাগ। একটুকরো জমিও যাতে অনাবাদী না থাকে এজন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতিদিন কোন না কোন গ্রামে গিয়ে কৃষকের সাথে তাদের চাষাবাদ, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলছেন। এতে দুর্যোগ প্রবন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপকূলে কৃষিতে সাড়া ফেলেছেন তিনি। শুধু কৃষক নয় বেকার যুবদেরও তিনি প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন ও বিনামূল্যে সরকারী কৃষি উপকরন প্রাপ্যতা নিশ্চিত করছেন। যাতে এক টুকরো জমিও অনাবাদী না থাকে।

এদিকে কলাপাড়া উপকূলে কৃষিতে সাড়া ফেলেছেন আদিবাসী রাখাইন পরিবারের সদস্য মংখেলা। যিনি উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিসের একজন অডিট সুপারভাইজার। সরকারী ছুটির দিনগুলোতে যিনি পুরোটাই সময় দেন কৃষি কাজে। তার রয়েছে ছাদ বাগান, ফল বাগান, সবজি বাগান সহ সবুজ ধানের ক্ষেত। নিজের উৎপাদিত কৃষি পন্যে তার পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে তিনি তার কলিগ, প্রতিবেশী ও শুভানুধ্যায়ীদের উপহার দেন তার উৎপাদিত কৃষি পন্য। মংখেলা’র কৃষিতে সাফল্য দেখে তার সহকর্মী সহ তার গ্রামের অনেকেই কৃষি কাজে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

শুক্রবার ছুটির দিনে উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের বৌলতলী পাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নিজের জমিতে উচ্চ ফলন শীল আমন ধানের বীজ ব্রি-১০৩ ধানের চারা রোপন করছেন মংখেলা। এসময় কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, এটি আমনের একটি নতুন জাত। হেক্টর প্রতি ৬ টন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে এ জাতের আমন ধান। কলাপাড়া উপকূলে প্রথম তিনি এ জাতের আমন ধানের চারা রোপন করছেন। এটি স্থানীয় বাজারে এখনও অপ্রতুল। এজন্য তিনি কৃষি বিভাগকে ধন্যবাদ জানান।

মংখেলা আরও বলেন, কৃষি কাজ করতে তার ভালো লাগে। অবসরে তিনি নিজের বাড়ীর ছাদে ও বাগানে কৃষি কাজ করে সময় কাটান। প্রায় সকল প্রজাতির ফল গাছ রয়েছে তার বাগানে। এছাড়া মৌসুম ভেদে বিভিন্ন প্রজাতির শাক, সবজির চাষ করেন তিনি। এর মধ্যে কিছু কিছু শাক, সবজি রয়েছে যা বারো মাসি জাতের।  তার উৎপাদিত কৃষি পন্যে নিজ পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে তিনি উপহার দিয়ে থাকেন তার কলিগ, প্রতিবেশী ও শুভানুধ্যায়ীদের।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এবছর উপজেলায় আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারন করা হয়েছে ৩০, ৬৯৮ হেক্টর। ইতিমধ্যে কৃষকের বীজতলা তৈরীর কাজ শেষ। বর্তমানে রোপনের কাজ চলছে। যা আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। এবছর উপজেলায় বিআর-১১, বিআর-২২, বিআর-২৩, ব্রি-৫১, ব্রি-৫২, ব্রি-৪৯ সহ  নতুন উদ্ভাবিত জাত ব্রি-১০৩ আমন ধানের রোপন করা হয়েছে। এসব জাতের ধানের বীজে হেক্টর প্রতি ৫-৬টন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে বলে জানায় সূত্রটি।

সূত্রটি আরও জানায়, এবছর কৃষিতে সরকারী প্রনোদনা পেয়েছেন ৩৬০০ কৃষক। জনপ্রতি কৃষককে ৫ কেজি বীজ ধান, ১০ কেজি এমওপি ও ১০ কেজি ড্যাপ সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দিতে উপজেলায় ৩৮টি ব্লকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি  কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন বলেন, ’বর্ষা মৌসুমে উপজেলার উঁচু এলাকার জমিগুলো অলস পড়ে থাকে। তাই কৃষকদের রোপা আমন ধান রোপণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় আমন চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর এই উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ’প্রতিদিন  কৃষকের কাছে কাছে গিয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষককে সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে। এ বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন রোপণ হবে বলে জানান তিনি।’ - গোফরান পলাশ