২৯, ৭, ০, ০, ২৬! এইগুলো কোনো সমান্তর ধারা নয়। এগুলো টাইগারদের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাসের শেষ পাঁচ ম্যাচের রান। ঘরের মাঠে ভারতের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ থেকে শুরু করে সীমিত ওভারে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন টাইগারদের এই ওপেনার।
এমনকি একটা সময় লিটনের রানের সংখ্যার ওপর ডিসকাউন্ট অফার চালু হয়েছিল। সে সময় খেই হারিয়ে নিজের ছন্দ খুঁজে বেড়িয়েছেন অনেকবার। তবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন এই ওপেনার।
খোলস থেকে বেরিয়ে ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে আশার আলো দেখাচ্ছেন টাইগার সমর্থকদের। এবার আইরিশদের বিপক্ষেও ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন চাপ সামলে উঠা টাইগারদের অন্যতম এই ব্যাটিং স্তম্ভ।
সোমবার (২০ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ওপেনিংয়ে আসেন লিটন। ম্যাচে ৭১ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৭০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন লিটন। এর মধ্য দিয়েই বছরের প্রথম ওয়ানডে ফিফটির দেখা পান ডানহাতি এই ওপেনার। এটি লিটনের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি।
এদিকে এই অর্ধশতকের মধ্য দিয়েই এক রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন লিটন। ক্যারিয়ারের ৬৫তম ইনিংসে দুই হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছেন লিটন। এর মধ্য দিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুই হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। তবে এই রেকর্ডে লিটন একাই থাকছেন না, এখানে আগে থেকেই ছিলেন শাহরিয়ার নাফীস। এবার নাফীসের সঙ্গে উঠল লিটনের নাম।
২০১১ বিশ্বকাপে ক্যারিয়ারের ৬৫তম ইনিংসে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন নাফীস। এটি ছিল বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সময়ে দুই হাজার রানের মাইলফলক। অভিষেকের ৫ বছর ২৬৬ দিনের মাথায় এই মাইলফলকে নাফীস পৌঁছালেও লিটনের সময় লেগেছে ৭ বছর ৯ মাস ২ দিন।
লিটন-নাফীসের আগে দ্রুততম সময়ে দুই হাজারের ক্লাবে ঢুকেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান। এই ক্লাবে পৌঁছাতে সাকিবের ৬৯ ইনিংস এবং তামিমের ৭০ ইনিংস লেগেছিল। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।