সকালের সূর্য দেখে না কি বোঝা যায় দিনটি কেমন যাবে! নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং ঠিক তেমনটাই। প্রথম বলেই তানজিদ তামিমকে হারিয়ে বড়সড় ধাক্কা খায় লাল-সবুজের দল। পরবর্তী ব্যাটাররাও পারেননি শুরুর সেই ধাক্কা সামলে দলকে ভালো অবস্থানে নিতে। সবমিলিয়ে সুপার এইট নিশ্চিতের ম্যাচে এসেই ফের খেই হারাল লিটন-শান্তরা।
সোমবার (১৭ জুন) কিংসটাউনের আর্নস ভেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৩ .ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১০৬ রান তোলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন সাকিব আল হাসান।
এই ম্যাচের উইকেট কেমন হতে পারে, সেই বিষয়ে ভালোই ধারণা ছিল নেপালের। তাইতো টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত অধিনায়ক রোহিত পাউডেলের। আর নেপালের সেই সাজানো ফাঁদে পা দেয় বাংলাদেশ। প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তানজিদ তামিম। সোমপাল কামির প্রথম বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে চেয়েছিলেন তামিম। টাইমিংয়ে গড়বড়ে বল যায়নি বেশিদূর। ক্যাচ ধরেন কামি নিজেই। আগের ম্যাচে দারুন শুরু এনে দেওয়া তামিম এই ম্যাচে ফিরলেন গোল্ডেন ডাক মেরে।
এরপর অধিনায়ক শান্ত এসেও পারেননি চাপ সামাল দিতে। উল্টো ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দলের চাপ বাড়িয়ে ফেরেন সাজঘরে। ৫ বলে ৪ রান করে আইরির বলে বোল্ড হন তিনি। লিটন জীবন পেয়েও জীবন লম্বা করতে পারলেন না। পঞ্চম ওভারে কামিকে পুল করতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন লিটন। ১২ বলে ১০ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
আর লামিচানের ঘূর্ণিতে সুইপ শট খেলতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন তাওহিদ। ৭ বলে ৯ রান করেন তিনি। সবমিলিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। পরবর্তীতে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান চাপ সামালের চেষ্টা করলেও তাদের জুটি বড় হয়নি।
দলীয় ৫২ রানের মাথায় ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় মাহমুদউল্লাহকে। সাকিবের শট মিড অফে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হাতে গেলেও দৌড় দেন তিনি। অপর প্রান্তে দাঁড়ানো মাহমুদউল্লাহও ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে যান। তাতেই ভুল হলো। সাকিব বল ফিল্ডারের হাতে থাকায় ফিরে যান, কিন্তু ক্রিজের মাঝামাঝি চলে যাওয়া মাহমুদউল্লাহ পারেননি। রানআউট হন তিনি। দারুণ ইনিংসের আভাস দেওয়া মাহমুদউল্লাহ ফেরেন ১৩ রানে।
এরপর উইকেটের মিছিলে যোগ দেন সাকিব নিজে। গত ম্যাচে ৬৪ রানের ইনিংস খেললেও এই ম্যাচে ২২ বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। রোহিতের ঘূর্ণিতে আটকা পড়েন তিনি। পিচ করেই হাল্ক বাঁক খেয়ে আঘাত করে সাকিবের পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি। এরপর শেষদিকে জাকের আলী-রিশাদ হোসেনরা চেষ্টা করলেও বড় সংগ্রহ গড়তে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ১৯.৩ ওভারে ১০৬/১০ (তামিম ০, লিটন ১০, শান্ত ৪, সাকিব ১৭, হৃদয় ৯, মাহমুদউল্লাহ ১৩, জাকের ১২, রিশাদ ১৩, তানজিম সাকিব ৩, তাসকিন ১২*, মুস্তাফিজ ৩ ; কামি ৩-০-১০-২, দীপেন্দ্র ৩.৩-০-২২-২, রোহিত ৪-০-২০-২, লামিচানে ৪-১-১৭-২, কুশল ৪-০-২২-০, অবিনাশ ১-০-১০-০) এনটিভি নিউজ