পেহেলগামে হামলার পর উপমহাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচিতে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। বহুজাতিক টুর্নামেন্ট ছাড়াও টিম ইন্ডিয়ার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সফরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে আসার কথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের। সাম্প্রতিক উত্তেজনায় আসন্ন সিরিজটি নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এক প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এমনটাই জানিয়েছে।
চলতি বছরে আগস্ট মাসে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে সফরে আসার কথা ভারতের। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সফরটি স্থগিত হয়ে যেতে পারে। সেই সাথে স্থগিত হয়ে যেতে পারে এশিয়া কাপও।
ভারতের গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বাংলাদেশ সফর ও এশিয়া কাপের বিষয়ে নেতিবাচক অবস্থান নিয়েছে বিসিসিআই। দুটি ক্রিকেট ইভেন্টেই ভারত অংশ নেবে না। ওই সময় স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলের বাকি ম্যাচ আয়োজন করা হতে পারে।
ভারত ও পাকিস্তানের হামলার কারণে চলমান আইপিএল স্থগিত করা হয়েছে। ভারতের ক্রিকেট বোর্ড জানায়, এই স্থগিতাদেশ এক সপ্তাহের জন্য। তবে শিগগিরই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি চালুর সম্ভাবনা ক্ষীণ। বৃহস্পতিবার(৮মে) রাতে ধর্মশালায় পাঞ্জাব–দিল্লি ম্যাচের সময়ের ঘটনায় ক্রিকেটাররা অস্বস্তির মধ্যে আছেন।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ৯টায় হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এইচপিসিএ) স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ মাঝ পথেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাকিস্তান হামলা করেছে গুঞ্জনের পাশাপাশি ধর্মশালা স্টেডিয়ামেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ধর্মশালায় আকস্মিক খেলা বন্ধের পর পাঞ্জাব ও দিল্লির খেলোয়াড়েরা চিন্তিত ছিলেন। শুক্রবার(৯ মে) ভোরে তাঁরা ধর্মশালা ছেড়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে আইপিএলের চলমান আসরে বাকি থাকা ১৬ ম্যাচ পিছিয়ে যেতে পারে।
ভারত ক্রিকেট দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলার পর বাংলাদেশে আসবে।কিন্তু বিসিসিআই সফরটি নিয়ে কোনো আলোচনাই করতে চায় না। বরং সেই সময় আইপিএলের বাকি ম্যাচ আয়োজন করতে চায়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, এমনকি যদি আইপিএলের বাকি অংশ ভারতের বাংলাদেশ সফর এবং এশিয়া কাপের আগে শেষও হয়ে যায়, তবু এই সফর এবং এশিয়া কাপ বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিসিসিআই এই অবস্থানে কোনোভাবে নমনীয় হওয়ার মনোভাব দেখাবে না। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর।
উল্লেখ্য, ভারত ক্রিকেট বোর্ডের এই মুহূর্তের লক্ষ্য হচ্ছে সব খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের নিরাপদ ও আতঙ্কমুক্ত রাখা। পাক-ভারত জেরে দুদেশের ক্রীড়াঙ্গনে পড়েছে উত্তেজনার প্রভাব। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে আইপিএলে। ধর্মশালা পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দূরে এবং বর্তমানে এই অঞ্চলে বিমান চলাচলও বন্ধ। একই কারণে আগামী ১১ মে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বনাম পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচটি ধর্মশালায় হওয়ার কথা থাকলেও সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আহমেদাবাদে।