এশিয়া কাপের ইতিহাসে এবারই প্রথমবার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। দুবাইয়ে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় পাকিস্তান। তবে হঠাৎ করেই তাদের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান ভারতীয় বোলাররা। ৩৩ রানের ব্যবধানে পরের ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪৬ রানেই অলআউট হয় সালমান-শাহিনরা।
পূর্বের দুই ম্যাচের মতো এদিনও পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলী আগার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেননি ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় পাকিস্তান। শুরুতে সাবধানী ব্যাটিং করলেও ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বের হতে থাকেন শাহিবজাদা ফারহান। তবে পাওয়ার প্লেতে খুব বেশি রান তুলতে না পারলেও উইকেটও হারায়নি তারা।
উদ্বোধনী জুটিতে ৮৪ রান যোগ করেন শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান। বরুণ চক্রবর্তীর বলে তিলক ভার্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফারহান ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে ৫৭ রান।
এরপরই ধস নামে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে। পরপর ৫ ওভারে ৭ ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। ১৭তম ওভারে একাই ৩ উইকেট তুলে নেন কুলদীপ যাদব। ২১ রানের ব্যবধানেই পাকিস্তান হারায় ৭ উইকেট। পরের দুই ব্যাটারও ফেরেন দ্রুতই। সব মিলিয়ে ৩৩ রান তুলতেই পরের ৮ ব্যাটারকে হারিয়ে ৫ বল বাকি থাকতে ১৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে এদিনও ব্যর্থ হয়েছেন সাইম আইয়ুব। কুলদীপের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে বুমরাহ’র হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ১৪ রান। পরের ওভারেই মোহাম্মদ হারিসকে ফেরান অক্ষর প্যাটেল। বাউন্ডারির কাছে রিঙ্কু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোনো রান না করেই।
এর পরের ওভারে ওপেনার ফখর জামানকে ফেরান বরুণ চক্রবর্তী। ৩৫ বলে ৪৬ রান করে কুলদীপের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তার পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারায় তারা। এবার ২ বলে ১ রান করা হুসেইন তালাতকে ফেরান অক্ষর প্যাটেল।
অধিনায়ক সালমান আলী আগাও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৭ বলে ৮ রান করে কুলদীপের বলে স্যামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। একই ওভারে শাহিন আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফকেও ফেরান কুলদীপ যাদব। দুজনেই আউট হন শূন্য রানে।
৪ বলে ৬ রান করা হারিস রউফকে বোল্ড করেন জসপ্রীত বুমরাহ। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ নাওয়াজকেও আউট করেন ডানহাতি এই পেসার। পাকিস্তানের হয়ে ফারহান, ফখর ও সাইম আইয়ুব ছাড়া আর কোনো ব্যাটার ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। ভারতের হয়ে কুলদীপ নিয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া অক্ষর প্যাটেল, বরুণ চক্রবর্তী ও বুমরাহ নেন ২টি করে উইকেট।