News update
  • ‘With Science, We Can Feed the World of 9.7 Billion by 2050′     |     
  • WHO warns of severe disruptions to health services for funding cuts     |     
  • ICJ hears Sudan’s case accusing UAE of ‘complicity in genocide’     |     
  • Bombardment, deprivation and displacement continue in Gaza     |     
  • Aged and Alone: The hidden pains in old age homes     |     

অগ্নিদুর্ঘটনায় করণীয় বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-03-07, 9:26am

sadhasudiuiiuou-8ac71aeb1cc351ff5069e1507a5f80671709781991.jpg




“অগ্নি দুর্ঘটনা, বর্তমান পরিস্থিতির গভীরতা এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর করণীয়” বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ মার্চ, বুধবার সকাল ১১টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আবু নাঈম মোঃ শাহিদউল্লাহ (সাবেক মহাপরিচালক), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আলী আহম্মেদ খান (সাবেক মহাপরিচালক), অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান (ডিজস্টার সাইন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলেন্স, ঢাবি), অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বুয়েট), স্থপতি মোঃ ইকবাল হাবিব (সহসভাপতি, বাপা), মোঃ নিয়াজ আলী চিশতি, সভাপতি, ইসাব প্রমুখ।

স্থপতি মোঃ ইকবাল হাবিব বলেন, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে ঢাকাসহ সারাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে হবে এবং চিহ্নিত ভবনের তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করার সাথে সাথে নির্দিষ্ট ভবনের সামনে তা প্রকাশ্যে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আবু নাঈম মোঃ শাহিদউল্লাহ বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স যেন নিয়মিত মোবাইল কোর্ট করতে পারে এজন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করা উচিত। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস-এর সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইনগত অসামঞ্জস্য/বিরোধ দ্রুত সমন্বয় করা প্রয়োজন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আলী আহম্মেদ খান বলেন, শহর কেন্দ্রিক স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন নির্মাণসহ ফায়ার সার্ভিসকে দুর্ঘটনার ধরনভেদে স্পেশাল টিম তৈরি করতে হবে। এছাড়া রাজউক, সিটি করপোরেশন বা ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার কোড তৈরি করার পরামর্শ দেন তিনি।

অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান বলেন, ঘণবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে হাইড্রেন্ট লাইন বসানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ফায়ার সার্ভিস-এর স্থগিত বিধিমালা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। ভবনের অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটিতে ফায়ার সার্ভিস-এর প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, রাজউক থেকে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নিয়ে যদি অকুপেন্সি পরিবর্তন করে তাহলে তা ফায়ার সার্ভিসকে জানাতে হবে এমন বিধান তৈরি করতে হবে। এছাড়া বিএনবিসির কিছু ধারা যুগোপযোগী করা উচিত। অগ্নি নির্বাপণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে শহরের জলাশয় ও পুকুর সংরক্ষণ করতে হবে বলে তিনি পরামর্শ দেন। 

নিয়াজ উদ্দিন চিশতী বলেন, শুধু অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম কিনে প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করলে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যাবে না। অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম মানসম্মত কিনা তা যাচাই করতে হবে, যেন তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

গোলটেবিল বৈঠকে অতিথিরা বর্তমান পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিস-এর করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। গোলটেবিল বৈঠকে কি নোট পেপার প্রেজেন্ট করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন।