News update
  • Walton Unveils Bangladesh’s Largest Floating Solar Plant     |     
  • Dreams of July Martyrs remain unfulfilled, claim families     |     
  • Metro Rail Halted on Agargaon–Motijheel Section After Fatal Accident     |     
  • Dhaka’s Per Capita Income Rises to USD 5,163     |     
  • DSE turnover dips 18% despite weekly gains in key indices     |     

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা কোটাবিরোধীদের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-07-08, 10:54pm

twetwet-0fd165135bfea2b209494101673061ec1720457683.jpg




কোটা বাতিলের দাবিতে এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১০ জুলাই) সারা দেশে সর্বাত্মক ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবেন তারা। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হবে। তবে অনলাইন-অফলাইন গণসংযোগ চলমান থাকবে।

সোমবার (৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি শেষে শাহবাগে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেল ৩টায় এক সংবাদ সম্মেলন করে বুধবার (১০ জুলাই) সর্বাত্মক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।

আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের কর্মসূচি পালন করছি। আমরা বাধ্য হয়েই রাজপথে নেমে এসেছি। ছাত্ররা সহজে মাঠ ছাড়বে না। আমাদের আহ্বান থাকবে আপনারা দায়িত্বশীল আচরণ করুন। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।

তিনি বলেন, অর্ধবেলা ব্লকেডে থেমে থাকব না। আমরা সর্বাত্মক ব্লকেড ঘোষণা করব। মঙ্গলবার সারা দেশে অনলাইন অফলাইন গণসংযোগ করব। অর্থাৎ সর্বাত্মক ব্লকেডের প্রস্তুতি চলবে। বুধবার থেকে সর্বাত্মক ব্লকেড।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যে এক দফা দাবি এটি আদালতের হাতে নেই। খেলার বল এখন সরকারের কোর্টে। সরকারকে বলব আমাদের দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করুন। আইন পাস করে আমাদের এক দফা দাবি পূরণ করুন। এখানে আদালতের কোনো এখতিয়ার নেই। সরকার চাইলেই এটা সম্ভব।

এ সময় শিক্ষার্থীদেরকে বাধা বা হয়রানি করা হলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

আন্দোলনের অন্যতম আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা আজকে মন্ত্রীর কথায় মর্মাহত হয়েছি। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের মধ্যে এনে হাইকোর্ট দেখানো হচ্ছে, অন্ধকে হাইকোর্ট দেখানো হচ্ছে। আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। আমরা ফিরে যাওয়ার জন্য রাজপথে আন্দোলনে নামি নাই। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আপনারা দায়িত্বশীলরা সহজ বিষয়কে ঘোলা করছেন। আপনাদের জন্যই শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। আপনাদের ওপর আস্থা হারাচ্ছি।

তিনি বলেন, স্পষ্ট করে বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের যেকোনো ক্ষতির দায়ভার আপনাদের নিতে হবে। কেউ আহত হলে অসুস্থ হলে তার দায়ভার আপনাদের ঘাড়ে বর্তাবে। আমরা রাস্তায় থাকব আর আপনারা এসে রুমে বসে রায় দেবেন তা আমরা মেনে নেব না। অতি দ্রুত আমাদের সঙ্গে সমন্বয় না করেন তাহলে বুঝব ছাত্র সমাজের পার্লস বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

আন্দোলনের আরেক অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আজকে মন্ত্রী বলেছেন হাইকোর্টের রায়ের ওপর তাদের কথা নেই। হাইকোর্টের রায়ই নাকি চূড়ান্ত। এমন বক্তব্যকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। দেশের সব শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করে নেবে।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির সূচনা করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল সোয়া ৪টা নাগাদ রাজধানীর কাঁটাবন, মিন্টু রোড, মৎস্যভবন, চানখারপুল, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেটে বাংলা ব্লকেড করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের ঘোষিত বর্তমান এক দফা দাবি হলো, সব গ্রেডে সব প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে। সংবিধানে অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে। আরটিভি