News update
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     
  • EU deploys election observation mission to Bangladesh     |     

অর্থ পাচারকারীরা বিশ্বের কোনো দেশে গিয়ে ও শান্তি পাবে না : হাইকোর্ট

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-05-17, 3:06pm




দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘আমরা আদেশ দিলে পৃথিবীর কোন দেশে গিয়ে ও অর্থ পাচারকারীরা শান্তি পাবে না।’
কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদারের বিষয়ে রুল শুনানির দিন ধার্যের আগে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই মন্তব্য করেন।
আদালত আরো বলেন, আমাদের আদেশের কারণেই আজ পি কে হালদার সারাবিশ্বের মানুষের কাছে অর্থ পাচারের অভিযোগে ভিন্নভাবে আলোচিত। এটা ভাবার সুযোগ নেই যে, অন্য দেশে গেলে আমরা তার বিরুদ্ধে আদেশ দিতে পারবো না। আমাদের শুধু অর্থ পাচারকারীর অবস্থানটা চিহ্নিত করে দিলেই আমরা তার বিরুদ্ধে আদেশ দিতে পারি। দেশের অর্থ পাচারকারীদের কোন ছাড় নেই।
এর পর আদালত পি কে হালদারের বিষয়ে রুল শুনানির জন্য আগামি ১২ জুন ধার্য করে আদেশ দেন। সেই সাথে এই সময়ে মধ্যে পি কে হালদারের মামলাগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে জানাতে দুদকের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ও তার কয়েক সহযোগীকে গত শনিবার গ্রেফতার করে ভারতের ডিরেক্টরেট অব এনফোর্সমেন্ট (ইডি)। পর দিন আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
গনমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয় গ্রেফতারের পর ইডি সাংবাদিকদের জানায়, বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে যাবার পর শিবশঙ্কর হালদার নামে ভারতীয় নাগরিকের সনদ যোগাড় করেন পি কে হালদার। পশ্চিমবঙ্গের নকল রেশন কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড এবং অন্যান্য কার্ডও তৈরি করান পি কে।
সংস্থাটি আরো জানায়, পি কে হালদার এবং তার সহযোগীরা পশ্চিমবঙ্গে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করছেন। প্রচুর অর্থ ব্যয় করে কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকায় নকল নাগরিক সনদ দেখিয়ে জমি কিনেছেন।
পি কে হালদার জালিয়াতির মাধ্যমে দেশের কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নামে-বেনামে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠে। এতে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো দেউলিয়া হতে বসে এবং গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।
গোপনে দেশ ছাড়ার পর গনমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে
পি কে হালদারের বিষয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও তার গ্রেফতারে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চান হাইকোর্ট।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএ ম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, গত বছরের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারি করে ইন্টারপোল। তথ্য সূত্র বাসস।