News update
  • Govt reaffirms commitment to distribute school books by Jan     |     
  • Dhaka’s air turns ‘unhealthy’ on Sunday morning     |     
  • BD’s leather sector stuck at $1bn; could tap $5bn: Experts      |     
  • RU suspends ward quota reinstatement amid student protests     |     
  • Airports across Europe face disruptions due to cyberattack     |     

লাগামহীন পেঁয়াজের বাজার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-07-14, 10:12am

eetefewrw-f41ff1d7ca599abff0601a185340c5b11720930373.jpg




প্রতিদিন দফায় দফায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। শেষ এক সপ্তাহে কেজিপ্রতি দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দেড় মাসের ব্যবধানে হয়েছে দ্বিগুণ। বাজারে এখনো দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, দাম বাড়ার কারণে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বাজারে এ পণ্যটির সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। পেঁয়াজের মজুত বাড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরাও ভালো মুনাফার আশায় পেঁয়াজ হাতছাড়া না করে ধরে রাখার কৌশল নিয়েছেন। আবার ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ার কারণে আমদানি হচ্ছে কম। এ অবস্থায় মূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ ও বাজারে দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি করা না গেলে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে পেঁয়াজের দাম।

এ অবস্থায়ও পেঁয়াজের দাম নিয়ে এখনো টনক নড়েনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। দ্রুত বেড়ে চলা এ পণ্যটির দাম কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি।

পেঁয়াজের দাম কমানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, ভারত থেকে আমদানি বাড়াতে কোনো উদ্যোগ বা বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির কোনো পদক্ষেপ আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের প্রধান অতিরিক্ত সচিব মালেকা খায়রুন্নেছা বলেন, এখনো কিছু চূড়ান্ত নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও কিভাবে পেঁয়াজের দাম কমানো যায় সে পথ খুঁজছে। আমরা আলোচনার মধ্যে আছি। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি।

এদিকে, সদ্য শুরু হওয়া চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পেঁয়াজসহ অত্যাবশ্যকীয় ১৭টি পণ্য আমদানিতে উৎসে কর ১ শতাংশ কমানো হয়েছে। দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি ভর্তুকি অব্যাহত রেখেছে সরকার। এর পাশাপাশি সরকারি অর্থায়নে পেঁয়াজ সংরক্ষণে ফরিদপুর, পাবনাসহ উৎপাদনকারী জেলাগুলোতে ‘মডেল’ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে গত কয়েক বছরের তুলনায় দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত রয়েছে। ফলে নিত্যপণ্যের বাজারে এ নিত্যপণ্যটির সংকট হওয়ার কথা নয়।

সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির তথ্য মতে, গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৫৬ শতাংশ, যা অতীতে কখনো দেখা যায়নি।

শনিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজের বাজারে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) পাবনার পেঁয়াজ ৫৭০-৫৮০ টাকা, রাজশাহীর পেঁয়াজ ৫৬০-৫৭০ টাকা ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বন্যা, বৃষ্টি ও কৃষককেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা।

এদিকে, যেভাবে দ্রুত দাম বাড়ছে তাতে সাধারণ ভোক্তাদের আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজি বন্ধ না হলে অতীতের মতো এবার ৩০০ টাকা পেঁয়াজের দাম উঠতে পারে। আরটিভি