News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

সংকট কাটেনি ভোজ্যতেলের, বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2025-02-14, 3:02pm

img_20250214_145844-c4d3fe8b3a3c3ae2b3b4393aa682a8931739523724.jpg




বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে চলছে বোতলজাত ভোজ্যতেলের ঘাটতি। সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাজারে মিলছে না খোলা তেলও। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামও কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে আলুর দামও কিছুটা বাড়তি।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে শবে রাতের কারণে মুদি বাজারেও এখন ক্রেতার ভিড় বেশি। তবে সয়াবিন তেল ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। গত সপ্তাহে ব্রয়লার বিক্রি হয়েছিল ১৯০ থেকৈ ২০০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। তবে সোনালি মুরগির দামে পরিবর্তন দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার এক কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৮০–৩১০ টাকায়। ফার্মের মুরগির ডিমের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১২৫–১৩৫ টাকায়। এদিকে শবেবরাত কেন্দ্র করে গরুর মাংসের চাহিদাও বেড়েছে। বাজারভেদে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়।

রামপুরা, মালিবাগ ও মগবাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে মাংসের দোকানে ক্রেতার ভিড় বেশি। অন্য সময় প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হতো। দরদাম করলে আরও ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেও কিনতে পারতেন ক্রেতারা। তবে অধিকাংশ দোকানে এখন দাম হাঁকা হচ্ছে ৮০০ টাকা। কিছু দোকানে একদাম আবার কোথাও ১০ থেকে ২০ টাকা কমিয়ে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।

সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজিতে পাঁচ টাকার মতো বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার তিনটি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকায়। গত সপ্তাহে আলু বিক্রি হয়েছিল ১৮ থেকে ২০ টাকায়। অবশ্য কারওয়ান বাজারে গতকালও ২০ টাকায় আলু বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা জানান, পাইকারিতে আলুর দাম দুই টাকার মতো বেড়েছে।

অন্যদিকে মসলাপণ্যের মধ্যে আদার দাম কিছুটা বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি দেশি আদা ১৪০–১৫০ টাকা ও আমদানি করা আদা ২৪০–২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি ২০ টাকার মতো কম ছিল। অবশ্য দেশি নতুন পেঁয়াজের দামে কোনো পরিবর্তন নেই। বাজারে এখন পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি। এ কারণে দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গতকাল খুচরা পর্যায়ে এক কেজি পেঁয়াজ ৪৫–৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

দেশি নতুন রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ এবং আমদানি করা রসুনের কেজি ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এই দরের চেয়ে অন্তত ১০ টাকা কমে রসুন কেনা গেছে। একই সঙ্গে আদারও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দর বেড়ে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শীতের মৌসুমের শেষ দিকে এসে বাজারে দু-একটি সবজির দামে বাড়তি প্রবণতা দেখা গেছে। যেমন গতকাল প্রতিটি ফুলকপি ৩০ টাকা ও ব্রকলি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে এ দাম ৫–১০ টাকা কম ছিল। বেগুনের দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। মানভেদে এক কেজি বেগুন এখন ৪০–৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া মুলা ও শালগমের কেজি ১৫ থেকে ২০, শিম ও গাজর ৩০ থেকে ৪০, ফুল ও বাঁধাকপির প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫, লাউয়ের পিস ৪০ থেকে ৬০, টমেটো ২০ থেকে ২৫, শসা ৫০ থেকে ৬০ ও কাঁচা মরিচের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, আসন্ন রমজান উপলক্ষে ডাল ও ছোলার দামে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি কেজি ভালো মানের মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ছোলা ১১০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মালিবাগের খোরশেদ মাংস বিতানে বিক্রেতা এনামুল হক বলেন, চাহিদার কারণে দাম কিছুটা বাড়তি। সকাল সকাল দুইটা গরু জবাই দিয়েছি, বিক্রি শেষ। তবে আমরা আগের দামে মাংস বিক্রি করছি। কেউ হাড় কমিয়ে নিলে দাম একটু বেশি পড়ছে।

আরটিভি