রিপাবলিকান দলের যে ৭ জন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে চাইছেন তারা বুধবার কড়া বিতর্কে লিপ্ত হন। প্রত্যেকেই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রধান চ্যালেঞ্জার হতে চান। ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর দলের মনোনয়নের জন্য সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন যদিও তিনি চারটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত।
গত মাসের মতো এবারও ট্রাম্প দলীয় উদ্যোগে আয়োজিত বিতর্কের বিরোধীতা করেন এবং তাঁর দু’জন বিরোধীর কাছ থেকে সাথে সাথে তিনি সমালোচিত হন।
ট্রাম্পের সব চেয়ে নিকটবর্তী চ্যালেঞ্জার, যিনি এখনও অবশ্য জাতীয় পোলিং ‘এ দ্বিতীয় হিসেবে অতটা কাছের নন, ফ্লরিডার গভর্ণর রন দ্যস্যান্টিস বলেন, “ ডনাল্ড ট্রাম্প এই সব কর্মকান্ডের বাইরে থেকে যাচ্ছেন । তাঁর এই মঞ্চে থেকে জবাব দেয়া উচিৎ , তিনি কেন জাতীয় ঋণ আরো ৭ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি বাড়িয়ে দিলেন”।
নিউ জার্সির সাবেক গভর্ণর ক্রিস ক্রিস্টি বলেন এয প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট যদি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের বিতর্ক এড়িয়ে চলতে থাকেন, তা হ’লে “আমরা আপনাকে ডনাল্ড ট্রাম্প নয় , আমরা আপনাকে ডনাল্ড ডাক নামে ডাকবো”।
ট্রাম্পের বিরোধীরা যখন ক্যালিফোর্নিয়ার রনাল্ড রেগান প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরিতে উপস্থিন হন, ট্রাম্প মিশিগানে রাজনৈতিক সমাবেশ করেন। এই রাজ্যটি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্থান যেখানে গাড়ি প্রস্তুতকারী শ্রমিকরা দেশের তিনটি সর্ববৃহৎ গাড়ি প্রস্তুতকারকদের বিরুদ্ধে ধর্মঘট করছে।
সমর্থকদের উল্লাসের মধ্যেই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রধানত ডেমক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আক্রমণ করেন এবং দলের মনোনয়নের জন্য যে সব রিপাবলিকান তাঁকে অতিক্রম করে যেতে চায় তাদেরকে তিনি অগ্রাহ্য করেন। তিনি বলেন, “ধূর্ত জো লাখ লাখ চাকরি চীনে দিয়ে দিচ্ছেন” এবং বলেন বাইডেন আমেরিকানদের ইলেক্ট্রিক গাড়ি কিনতে চাপ দিচ্ছেন অথচ অনেক পরিবারের জন্য তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
বিতর্ক মঞ্চের পেছনে অন্য রিপাবলিকানরা মৌখিক ভাবে একে অপরের সমালোচনা করেন এই আশায় যে তারা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে থাকবেন। এ দিকে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স তার রক্ষনশীলতাকে তুলে ধরেন এবং বলেন বহু বছর তিনি কংগ্রেসে রয়েছেন, ইন্ডিয়ানার গভর্ণরো ছিলেন এবং তিনি প্রেসিডন্ট পদের জন্য যোগ্যতম ব্যক্তি। এই ভাবে রিপাবলিকানদের মনোনয়ন প্রার্থীরা নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরেন। সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা।