News update
  • Bumper harvest of Jujube in Ramu Upazila     |     
  • Govt urged to offer scholarships to Palestinian students     |     
  • Caretaker Govt Review Hearing on Supreme Court Cause List     |     
  • Bangladesh Single Window to Launch by March: Lutfey Siddiqi     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     

জলবায়ু ও আবহাওয়া বিপর্যয়ে ২০২৩ সালে এশিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত: জাতিসংঘ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জলবায়ু 2024-04-23, 11:38pm

kjhdhifwieiwoeuri-a2e0aa623305be0c0e5e5831e7b5f25a1713894061.jpg




জাতিসংঘ মঙ্গলবার বলেছে, এশিয়া ছিল ২০২৩ সালে জলবায়ু এবং আবহাওয়ার ঝুঁকির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ-কবলিত অঞ্চল। এতে হতাহত এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রধান কারণ ছিল বন্যা এবং ঝড়। 

বৈশ্বিক তাপমাত্রা গত বছর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং জাতিসংঘের আবহাওয়া ও জলবায়ু সংস্থা বলেছে, এশিয়া বিশেষ করে দ্রুত গতিতে উষ্ণ হচ্ছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলেছে,এশিয়ায় তাপপ্রবাহের প্রভাব আরও গুরুতর হয়ে উঠছে এবং হিমবাহগুলো গলে যাওয়ায় এই অঞ্চলের ভবিষ্যত পানি সুরক্ষা হুমকির মুখোমুখি। 

ডব্লিউএমও বলেছে, এশিয়া বিশ্বব্যাপী গড়ের চেয়ে দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। গত বছর তাপমাত্রা ১৯৬১ থেকে ১৯৯০ সালের গড় থেকে প্রায় দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

ডব্লিউএমও প্রধান সেলেস্তে সাওলো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রিপোর্টের উপসংহারগুলো খুবই মর্মান্তিক।’

‘খরা এবং তাপপ্রবাহ থেকে বন্যা ও ঝড় এবং চরম বৈরি পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলের অনেক দেশ ২০২৩ সালে তাদের রেকডে উষ্ণতম বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।’

‘জলবায়ু পরিবর্তন এই ধরনের ইভেন্টের ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতাকে বাড়িয়ে তুলেছে, যা সমাজ, অর্থনীতি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানব জীবন এবং আমরা যে পরিবেশে বাস করি তা গভীরভাবে প্রভাবিত করছে।’

‘দ্য স্টেট অফ দ্য ক্লাইমেট ইন এশিয়া-২০২৩’ রিপোর্টে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, হিমবাহের গলন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো মূল জলবায়ু পরিবর্তনের সূচকগুলোর ত্বরান্বিত হারকে হাইলাইট করে বলেছে। এগুলো এই অঞ্চলের সমাজ, অর্থনীতি এবং বাস্তুতন্ত্রের জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

ডব্লিউএমও বলেছে, ‘এশিয়া ২০২৩ সালে আবহাওয়া, জলবায়ু এবং পানি-সম্পর্কিত বিপদ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ-বিধ্বস্ত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।’ 

২০২৩ সালে এশিয়ায় ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বাতাসের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা রেকর্ডে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল, যা ১৯৯১-২০২০ গড়  থেকে ০.৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াাস এবং ১৯৬১-১৯৯০ গড় থেকে ১.৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশী।

বিশেষ করে পশ্চিম সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া এবং পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত উচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাপানের গ্রীষ্মের রেকর্ডে এটি উষ্ণতম। 

বৃষ্টিপাতের জন্য হিমালয় এবং পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালায় এটি স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল।

ইতোমধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম চীন খরায় ভুগছে। বছরের প্রায় প্রতি মাসেই স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়।

তিব্বত মালভূমিকে কেন্দ্র করে হাই-মাউন্টেন এশিয়া অঞ্চলে মেরু অঞ্চলের বাইরে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বরফ রয়েছে।

গত কয়েক দশক ধরে, এই হিমবাহগুলোর অধিকাংশই ত্বরান্বিত হারে গলে যাচ্ছে এ কথা উল্লেখ করে ডব্লিউএমও বলেছে। এই অঞ্চলের ২২টি নিরীক্ষণ করা হিমবাহের মধ্যে ২০টি গত বছর ক্রমাগত ব্যাপক হারে বরফ গলন দেখা যায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা রেকর্ডে সর্বোচ্চ ছিল।

গত বছর, এশিয়ায় পানি-সম্পর্কিত আবহাওয়ার ঝুঁকির সাথে যুক্ত ৭৯টি দুর্যোগের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি বন্যা এবং ঝড়, ২,০০০-এরও বেশি মানুষের প্রাণহানি এবং ৯ মিলিয়ন মানুষ এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ডব্লিউএমও বলেছে, ‘২০২৩ সালে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে রিপোর্টকৃত ঘটনা গুলোর মধ্যে বন্যা ছিল মৃত্যুর প্রধান কারণ’। প্রাকৃতিক বিপজ্জনক ঘটনাগুলোর জন্য এশিয়ার উচ্চ স্তরের ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। 

হংকংয়ে গতবছরের ৭ সেপ্টেম্বর এক ঘন্টায় ১৫৮.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে যা ১৮৮৪ সালে টাইফুনের ফলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের চেয়ে বেশী।  

ডব্লিঊএমও বলেছে, দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জন্য উপযোগী তথ্য উন্নত করার জন্য এই অঞ্চল জুড়ে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবার জরুরি প্রয়োজন।