News update
  • Irregular entry, false asylum claims harm Bangladesh’s global standing     |     
  • Dhaka breathes ‘very unhealthy’ air Tuesday morning     |     
  • Election Code of conduct gazetted, banning posters-drones, AI misuse     |     
  • Rivers Keep Swallowing Land as Bangladesh Battles Erosion     |     
  • UN Warns Refugees Caught in Climate–Conflict Cycle     |     

নির্ধারিত দামে মিলছে না এলপিজি সিলিন্ডার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জীবাশ্ম 2025-11-11, 10:57am

ewaqewqe-051cca76ac6e1aec0a812063b65bd9061762837031.jpg




প্রায় প্রতি মাসেই তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। তবে সেই দাম বাস্তবে ভোক্তা পর্যায়ে কার্যকর হয় না। নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি গুণতে হয় ক্রেতাদের। ভোক্তাদের অভিযোগ, শুধু দাম ঘোষণা করেই খালাস সরকার-নেই কোনো কার্যকর মনিটরিং। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমন্বয়হীতার অভাবেই সমাধান নেই এলপিজির বাজারে। যার দায় নিতে হবে লাইসেন্স ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানকেই।

বিইআরসি ঘোষিত ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এক, কিন্তু খুচরা বাজারে মিলছে আরেক দামে। নভেম্বর মাসের শুরুতেই ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ২১৫ টাকা। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি গুণছেন ভোক্তারা।

দাম বাস্তবায়নে কার্যকর নজরদারির অভাবকেই দায়ী করছেন ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, সরকার ১ হাজার ২১৫ টাকা দাম বেঁধে দিলেও বাজারে সেই দামে মিলছে না এলপিজি সিলিন্ডার। বিইআরসি শুধু দাম নির্ধারণ করেই দায়িত্ব শেষ করছে, বাজারে তাদের কোনো তদারকি নেই।

এদিকে বিক্রেতাদের দাবি, সার্ভিস চার্জের কারণেই অতিরিক্ত দাম নেয়া হচ্ছে। তারা বলছেন, প্রতিটি সিলিন্ডার গ্রাহকের বাসায় পৌঁছে দিতে রিকশা বা ভ্যান ভাড়া রয়েছে। যার কারণে দাম কিছুটা বেশি নেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনের বাইরে সাক্ষাৎকার না দেয়ার কথা জানান বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। বিইআরসি কার্যালয়ে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাও জানান, ক্যামেরার সামনে কথা বলেন না তিনি। তবে পরে এক পর্যায়ে কথা বলতে রাজি হন সংস্থাটির প্রশাসন, অর্থ ও আইন বিভাগের সদস্য মো. আবদুর রাজ্জাক।

তিনি জানান, অনিয়ম ঠেকাতে ভোক্তা অধিকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে মনিটরিং জোরদার করা হবে। প্রত্যেক জেলা প্রশাসনের নিজস্ব ক্ষমতাবলের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে মনিটরিং কার্যক্রম। বিইআরসি থেকেও তদারকি বাড়াতে জেলা প্রশাসনকে বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সমন্বয়হীনতার অভাবেই সমাধান নেই এলপিজির বাজারে। যার দায় নিতে হবে লাইসেন্স ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানকেই। সেফটেক অ্যানার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লিয়াকত আলি বলেন, এলপিজি সিলিন্ডারগুলোকে সঠিকভাবে রিফিল করে সঠিক দামে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য একটি সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে। এটি নিয়ে আলোচনা হলেও বাজারে এর বাস্তবায়ন নেই। এ বিষয়ে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।

প্রায় ৩ কোটি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহৃত হয় বাংলাদেশে। যার অধিকাংশই লাইসেন্সবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ। এমনকি এসবি সিলিন্ডার ব্যবহারে ক্ষেত্রে মানা হয় না কোনো নিয়ম-নীতিও। এতে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, মনিটরিং দুর্বল থাকলে কেবল দাম নয়, নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়বে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, দেশে যে ধরনের সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয় এর বেশিরভাগই ঝুঁকিপূর্ণ। নিরাপত্তা ঝুঁকি রোধে কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে। মনিটরিং কার্যক্রমের জন্য সঠিক ব্যবস্থপনা গ্রহণ করতে হবে। দাম ও পরিমাপের পাশাপাশি লাইসেন্সবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।