মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তি কামনা করে বাংলাদেশে পালন হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পর পর দুই বছর জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় বন্ধ রাখা হলেও এবারের কুরবানির ঈদের প্রধান জামাত আবার ফিরেছে জাতীয় ঈদগাহে।
রোববার সকাল ৮টায় সেখানে প্রধান জামাত হয়। সেখানে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন।
ঢাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৭টা থেকে ঈদের পাঁচটি জামাতে অংশ নিয়েছেন হাজারো মুসুল্লি।
সেখানে প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের জ্যেষ্ঠ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।
এদিকে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৯৫তম ঈদুল আজহার জামাত আদায় হয়েছে।
সকাল ৯টায় নামাজে ইমামতি করেন শহরের মারকাজ মসজিদের ইমাম হিফজুর রহমান খান।
সকাল থেকে আবহাওয়া বেশ অনুকূলে থাকায় নামাজ পড়তে এসে কাউকেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি।
নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাসের মহামারিসহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তি চেয়ে দোয়া করা হয়। সেই সাথে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়।
তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এবারে নামাজ আদায়ে আসা সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ করে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরে ভেতরে ঢুকতে হয়েছে।
জামাতে দাঁড়ানোর সময় সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথাও বলা হয়েছে।
প্রতিটি ঈদ জামাতে নিরাপত্তাকর্মীদের অবস্থান ছিল চোখে পড়ার মতো।
ঈদ জামাত শেষে পশু কুরবানির আয়োজন শুরু হয়।
এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন পশু জবাই করার জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণ করে দিয়েও এবারে তেমন কোন ব্যবস্থা ছিল না।
বরাবরের মতই শহরগুলোর গাড়ি বারান্দা, সামনে খোলা জায়গা, রাস্তা ও অলিগলিতে পশু জবাইয়ের করতে দেখা গিয়েছে।
তবে ভয়াবহ বন্যার শিকার সিলেটের অনেক পরিবারেই এ আনন্দের দেখা নেই। তারা ব্যস্ত জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার লড়াইয়ে। হাজারো মানুষ এখনও আটকে আছেন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয়।
এদিকে প্রতিবছর ঈদ আয়োজনকে সামনে শহরের প্রধান ভবন ও স্থাপনাগুলোয় আলোকসজ্জা করা হলেও। এবারে বিদ্যুৎ সংকটের কারণে এবারে শহরজুড়ে কোন আলোকসজ্জা করতে সরকার গত বৃহস্পতিবার নির্দেশনা জারি করেছে। তথ্য সূত্র বিবিসি বাংলা।