Police ASI Abbas.
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে এক পরীক্ষার্থীকে চড় থাপ্পড় ও লাথি মেরে সড়কে ফেলে মারধর করেছেন আব্বাস উদ্দিন নামের পুলিশের এক এএসআই। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা শেষে হালিমা খাতুন মহিলা কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে থেকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত এএসআই আব্বাস উদ্দিন রাঙ্গাবালী থানায় কর্মরত।
ভুক্তভোগী পরিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মঙ্গলবার পরীক্ষা শেষে কয়েকজন পরীক্ষার্থী অন্যান্য সহপাঠীদের অপেক্ষায় কেন্দ্রের মধ্যে দাড়িয়ে ছিল। এসময় এএসআই আব্বাস গিয়ে তাদেরকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। পরে জুনাইদ আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী তার কাছে ধাক্কার কারণ জানতে চাইলে তাকে চর থাপ্পড় এবং ধাক্কা দিয়ে সড়কে ফেলে মারধর করেন এএসআই আব্বাস।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জুনাইদ আহমেদ জানান, আগামীকাল আমাদের প্রাকটিকাল পরীক্ষা এজন্য স্যার আমাদেরকে পরীক্ষা শেষে দাড়াতে বলেছেন। তাই আমরা কয়েকজন কেন্দ্রের মধ্যে দাড়িয়ে ছিলাম। তখন এএসআই আব্বাস গিয়ে আমাদেরকে বাহিরে দাড়াতে বলেন। আমরা বলেছি সব বন্ধুদের পরীক্ষা শেষ হলে একসঙ্গে স্যারের কাছে যাবো, এজন্য দাড়িয়ে আছি। কিন্তু আব্বাস দারোগা আমাদেরকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। পরে আমি বলি যে কি অপরাধে ধাক্কা দিলেন জানতে পারি। এরপর সে আমার কলার ধরে ধাক্কাতে ধাক্কাতে মাটিতে ফেলে চড়থাপ্পর ও লাথি দেন।
এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. ইসান বলেন, কি অপরাধে আমাদেরকে মারলো? আগামীকাল আমাদের কৃষি শিক্ষা পরীক্ষার প্রাকটিকাল। তাই স্যার বলছে পরীক্ষা শেষে দাড়াতে। আমরা দাড়িয়ে ছিলাম। আব্বাস দারোগা এসে ধাক্কা দিয়ে আমাদের বের করে দেয়। আমাদের এক বন্ধু ধাক্কার কারণ জানতে চাইলে তাকে চড় থাপ্পড় ও লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে মারধর করে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
রাঙ্গাবালী উপজেলার দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সচিব মাওলানা মাহমুদুর রহমান জানান, পরীক্ষা শেষে আমি চলে এসেছি। পরে শুনি গেইটের সামনে এ ঘটনা ঘটছে। এভাবে একজন শিক্ষার্থীকে পুলিশ পেটাতে পারেনা। আমরা ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।
অভিযুক্ত এএসআই আব্বাস উদ্দিন বলেন, আমি মারধর করি নাই। সরতে বলছি সরে নাই, তাই ধাক্কা দিলে পড়ে যায়। তাকে লাথি, থাপ্পড় মারিনি।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, এটা দুঃখজনক। মারধর না করুক, ধাক্কাই বা কেন দেবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবো। - গোফরান পলাশ