News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

ভূমধ্যসাগরে বেঁচে যাওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীরা বলছেন, লিবিয়া থেকে যাত্রা করা ৬০ জন ডুবে মারা গেছেন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2024-03-15, 8:23am

166e8bd6-b36d-40bc-9247-116cdce016ab_w408_r1_s-b028feb8c73563c05f81688ab69019f31710469423.jpg




মানবিক উদ্ধারকারী গোষ্ঠী এসওএস মেডিটেরানি বৃহস্পতিবার বলেছে, ভূমধ্যসাগরে এক ডুবন্ত রাবারের ডিঙি থেকে উদ্ধার পাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন যে, এক সপ্তাহেরও বেশি আগে লিবিয়া থেকে তাদের সঙ্গে যাত্রা করা প্রায় ৬০ জন ডুবে মারা গেছেন। ইউরোপের দাতব্য জাহাজ ওশান ভাইকিং বুধবার ওই ডিঙি দেখতে পায়;এতে তখন ২৫ জন লোক ছিলেন। এদের মধ্যে দুইজন অচেতন অবস্থায় ছিলেন এবং ইতালির উপকূলরক্ষী হেলিকপ্টার তাদের চিকিৎসার জন্য অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। বাকি ২৩ জনের শারীরিক অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তারা বিধ্বস্ত, দেহে জলশূন্যতার চিহ্ন ছিল এবং নৌকার জ্বালানির সংস্পর্শে তাদের দেহ পুড়ে গেছিল।

এসওএস মেডিটেরানির মুখপাত্র ফ্রান্সেসকো ক্রেয়াজ্জো বলেন, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা সবাই পুরুষ। এদের মধ্যে ১২ জন নাবালক। এই নাবালকদের মধ্যে দুইজন আবার কৈশোরেই পা দেয়নি। তারা সেনেগাল, মালি ও দ্য গাম্বিয়ার বাসিন্দা।

ক্রেয়াজ্জো বলেন, জীবিতরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন এবং সমুদ্রযাত্রার সময় কী ঘটেছিল তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিতে পারেননি তারা। তিনি বলেন নিখোঁজ ও সম্ভাব্য মৃতের সংখ্যা যাচাই করা কখনও সম্ভব নয়। মানবিক সংগঠনগুলি সমুদ্রে মৃত ও নিখোঁজদের সংখ্যা হিসেবের সময় জীবিতদের বিবরণের উপর প্রায়শই নির্ভর করে থাকে।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন বলছে, চলতি বছরের ১১ মার্চ পর্যন্ত বিপজ্জনক সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় পথে ২২৭ জন মারা গেছেন; নতুনভাবে খবর পাওয়া নিখোঁজ ও সম্ভাব্য মৃতদের সংখ্যা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়। পয়লা জানুয়ারি থেকে ভূমধ্যসাগরে মোট ২৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়কালে ওই সমুদ্রপথে ইতালিতে পৌঁছেছেন মোট ১৯৫৬২ জন।

বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন, লিবিয়ার জাওইয়া থেকে প্রায় ৮৫ জনকে নিয়ে নৌকাটি ছেড়েছিল। এদের মধ্যে কয়েকজন নারী ছিলেন ও কমপক্ষে একজন ছোট শিশু ছিল। নৌকা ছাড়ার অল্প সময় পরেই মোটর ভেঙে গিয়েছিল এবং তারা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় ছিলেন। মাসিমো হিসেবে চিহ্নিত উদ্ধারকারীদের একজন এসওএস মেডিটেরানি কর্তৃক প্রচারিত এক ভিডিওতে বলেন, “এই লোকগুলি তাদের অনেক প্রিয়জনের মৃত্যু দেখেছেন। আমরা তাদের যত্ন নিয়েছি। তারা হাইপোথারমিয়ায় ভুগছিলেন, এবং গ্যাসোলিন ও সমুদ্রের জলে তাদের দেহে পোড়ার চিহ্ন ছিল।”

কর্তৃপক্ষ সতর্কবার্তা জারি করার পর, ওসান ভাইকিং বুধবার রাতে লিবিয়ার অদূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় কাঠের নৌকায় ভাসমান আরও ১১৩ জনকে উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে ছয়জন নারী ছিলেন ও দুইজন শিশু ছিল। ওসান ভাইকিং-এর পৌঁছনোর আগে সেখানে প্রথম হাজির হয়েছিল একটি বেসামরিক পালতোলা জাহাজ। তারা ওই ব্যক্তিদের প্রাণ রক্ষাকারী ভেস্ট বন্টন করেছিল।

ক্রিয়াজ্জো বলেন, মধ্য মার্শে অঞ্চলের অ্যাঙ্কোনা বন্দরে যেতে ওশান ভাইকিং-কে নির্দেশ দিয়েছে ইতালির কর্তৃপক্ষ।

মানবিক সংস্থাগুলি সতর্ক করেছে, অতি-ডানপন্থী ইতালি সরকারের আরও উত্তর দিকে বন্দরগুলি বরাদ্দ করার নীতির ফলে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারে এমন জলসীমায় তাদের উদ্ধারকারী জাহাজগুলি থাকতে পারছে না। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা।