News update
  • Mushfiqur, Mahmudullah, Mominul find teams in BPL     |     
  • Modi expresses concern over Khaleda's health, offers support     |     
  • Dhaka 3rd most polluted city in the world Tuesday morning     |     
  • Govt declares Khaleda Zia a ‘very very important person’     |     
  • Remittance surges to $2.68 billion in 29 days of November     |     

রিজওয়ানের হাফ-সেঞ্চুরিতে টানা সপ্তম জয় কুমিল্লার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ফুটবল 2023-02-04, 5:52pm

image-77526-1675504363-81dec61baf65e6e40410ddc6c86b97bb1675511555.jpg




পাকিস্তানী মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাফ-সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসরে টানা সপ্তম জয়ের স্বাদ পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

টুর্নামেন্টের ৩৫তম ম্যাচে কুমিল্লা ৬ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। রিজওয়ান ৪৭ বলে ৬১ রান করেন।

এই জয়ে ১০ ম্যাচে ৭ জয় ও ৩ হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানে থাকলো কুমিল্লা। একই অবস্থা ফরচুন বরিশালেরও। রান রেটে এগিয়ে দ্বিতীয়স্থানে বরিশাল। ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রংপুর রাইডার্স। পয়েন্ট টেবিলের এই শীর্ষ চার দল আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। এই ম্যাচ হেরে ১০ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সাত দলের টুর্নামেন্টে টেবিলের তলানিতে চট্টগ্রাম।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে আজ টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্বান্ত নেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক শুভাগত হোম।

ব্যাট হাতে নেমে শুরুতেই কুমিল্লার স্পিনার তানভীর ইসলামের ঘুর্ণিতে পড়ে ৬ রানে ২ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে শূন্যতে ওপেনার মেহেদি মারুফ ও তৃতীয় ওভারে পাকিস্তানের খাজা নাফিকে ২ রানে বিদায় করেন তানভীর।

শুরুতেই চাপে পড়া চট্টগ্রামকে খেলার ফেরানোর চেষ্টা করে সফল হন আরেক ওপেনার পাকিস্তানের উসমান ও আফিফ।  শুরুতে সাবধানী থাকলেও, উইকেটে সেট হয়ে রানের গতি বাড়ায় এ জুটি । ১৫তম ওভারে উসমানের দু’টি ছক্কায় ১৫ রান পায় চট্টগ্রাম। ৩৮তম বল খেলে ঐ ওভারেই এবারের আসরে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন উসমান।

পরের ওভারে আফিফের ১টি করে চার-ছক্কায় ১২ রান পায় চট্টগ্রাম। ১৪তম ওভারে উসমান-আফিফের জুটি ভাঙ্গেন কুমিল্লার পেসার সৈকত আলি। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪১ বলে ৫২ রান করা উসমানকে শিকার করেন সৈকত। তৃতীয় উইকেটে ৬৪ বলে ৮৮ রান করেন উসমান ও আফিফ।

৪০ বল মোকাবেলায় ১৬তম ওভারে এবারের আসরে দ্বিতীয় অর্ধশতক পূর্ণ করেন আফিফ। আফিফের হাফ-সেঞ্চুরির পর দ্রুত ফিরেন অধিনায়ক শুভাগত, আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার ও জিয়াউর রহমান। শুভাগত ১২, ক্যাম্ফার-জিয়াউর খালি হাতে আউট হন।

শেষ ওভারের প্রথম বলে পাকিস্তানী  পেসার হাসান আলির বলে লেগ বিফোর আউট হন ৪৯ বলে ৬৬ রান করা আফিফ। তার ইনিংসে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। শেষ দিকে আফগানিস্তানের দারউইশ রাসুলির ৯ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ঝড়ো ২১ রানে লড়াকু পুঁিজ পায় চট্টগ্রাম। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৬ রান করে চট্টগ্রাম। কুমিল্লার তানভীর-হাসান ২টি করে উইকেট নেন।

জবাবে উদ্বোধনী জুটিতে ২০ রান পায় কুমিল্লা। ১০ বলে ১৫ রান করা সৈকতকে শিকার করে চট্টগ্রামকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি।

তিন নম্বরে নেমেই ১টি করে চার-ছয় মারেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। কিন্তু বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি তিনি। জিয়াউরের বলে বোল্ড হন ১১ বলে ১৫ রান করা ইমরুল।

সিলেটের মাঠে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চার্লস এ ম্যাচে ৯ রানেই শিকার হন জিয়ার। নবম ওভারে ৫৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপ পড়ে কুমিল্লা। এরপর মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন রিজওয়ান। ১৪তম ওভারে দলের রান ১শতে নিয়ে যান তারা। শেষ ৬ ওভারে ৫৪ রান দরকার পড়ে কুমিল্লার।

স্পিনার নিহাদুজ্জামানের করা ১৫তম ওভারে ২টি করে চার-ছক্কায় ২০ রান তুলেন রিজওয়ান। এতে শেষ ৫ ওভারে জয়ের সমীকরন ৩৪ রানে নেমে আসে কুমিল্লার। ঐ ওভারেই ৩৮ বলে এবারের আসরে চতুর্থ অর্ধশতক পূর্ণ করেন রিজওয়ান।

১৭তম ওভারে মৃত্যুঞ্জয়ের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ংার আগে  ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৭ বলে ৬১ রান করেন রিজওয়ান। চতুর্থ উইকেটে মোসাদ্দেকের সাথে ৪৭ বলে ৭৬ রান যোগ করে কুমিল্লার জয়ের পথ সহজ করেন রিজওয়ান।

পঞ্চম উইকেটে ১৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৪ রান তুলে দলের বাকী প্রয়োজন পূরণ করেন মোসাদ্দেক ও জাকের আলি। ২৭ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৩৭ রান করেন মোসাদ্দেক। ৭ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। চট্টগ্রামের মৃত্যুঞ্জয় ও জিয়াউর ২টি করে উইকেট নেন। তথ্য সূত্র বাসস।