উয়েফা উইমেন্স ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠলো স্পেন। শুক্রবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাতে সুইস মেয়েদের ২-০ গোলে হারিয়েছে স্প্যানিশ মেয়েরা। দুটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। দলের হয়ে গোল দুটি করেছেন অ্যাথিনা দেল ক্যাস্তিলো ও ক্লদিয়া পিনা।
উয়েফা উইমেন্স ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে জার্মানি। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মোট ৮বার এই শিরোপা জিতেছে জার্মান মেয়েরা। মাঝে একবার ১৯৯৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নরওয়ে। তবে সবশেষ ২০১৭ ও ২০২২ সালে এই শিরোপা ঘরে তুলেছে যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস ও ইংল্যান্ড। তবে এখনো পর্যন্ত ইউরোর শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি স্প্যানিশ মেয়েরা।
এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই সুইজারল্যান্ডের মেয়েদের ওপর চাপ তৈরি করে খেলতে থাকে স্পেন। তবে প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। দ্বিতীয়ার্ধে ডেডলক ভাঙে স্পেন। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে বোনমাতির পাস থেকে দারুণ এক গোলে দলকে এগিয়ে দেন অ্যথিনা।
দ্বিতীয় গোল পেতে অবশ্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি স্প্যানিশদের। ম্যাচের ৭১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্লদিয়া পিনা। এরপর আক্রমণের ধার আবও বাড়ায় তারা। তবে শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোলের দেখা পায়নি কেউ।
ম্যাচে ৭৩ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল স্পেন। আর সুইজারল্যান্ডের দখলে ছিল মাত্র ২৭ শতাংশ। এই সমীকরণই বলে দেয় যে ম্যাচে কতটা আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে স্প্যানিশরা।
পুরো ম্যাচে গোলের উদ্দেশ্যে ২২টি শট নিয়েছে স্পেন। তার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৬টি। অন্যদিকে সুইজারল্যান্ডের মেয়েরা গোলের জন্য শট নিয়েছে মাত্র ৪টি, যার একটিও লক্ষ্যে ছিল না।
তবে ফাউল করেছে দুই দল সমান সমান। দু-দলই ১২টি করে ফাউল করেছে। তবে স্পেনের মাত্র একজন হলুদ কার্ড দেখেছেন। অন্যদিকে তিনটি হলুদ পেয়েছেন সুইজারল্যান্ডের খেলোয়াড়রা, এ ছাড়া ম্যাচের অতিরিক্ত যোগ করা দ্বিতীয় মিনিয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সুইজারল্যান্ডের মারির্টজ।
স্প্যানিশ মেয়েরা মোট ক্রস করেছেন ২০টি, আর সুইজারল্যান্ডের মেয়েরা মাত্র ৩টি। মোট ৩৪০টি পাস দিয়েছেন স্প্যানিশ মেয়েরা, অন্যদিকে সুইস মেয়েরা পুরো ম্যাচে পাস দিয়েছেন মাত্র ১১১টি।
এর আগে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আরও দুই দল। নরওয়েকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে ইতালি। আর সুইডেনকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারিয়ে সেমি নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। নির্ধারিত সময়ে তাদের ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র ছিল।
সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ড খেলবে ইতালির বিপক্ষে। কোয়ার্টার ফাইনালে শনিবার (১৯ জুলােই) ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলবে জার্মানি। তাদের মধ্যে জয়ী দল খেলবে স্পেনের বিপক্ষে।