আর্সেনালের কাছে হারের পর মনকে শান্ত্বনা দেওয়ার মতো কিছু থাকে। তারা সমকক্ষীয়, গত কয়েক মৌসুম ধরে প্রিমিয়ার লিগ জিততে জিততেও জেতা হয়ে উঠছে না। ফুলহ্যামের কাছে ড্রয়ের পরও একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়, তারাও তো প্রিমিয়ার লিগে খেলে। চতুর্থ সারির লিগে খেলা গ্রিমসবাই টাউনের কাছে হারের কী ব্যাখ্যা দেবেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ রুবেন আমোরিম?
বুধবার (২৭ আগস্ট) কারাবো কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে গ্রিমসবাই টাউনের সঙ্গে মূল ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করার পর টাইব্রেকারে ১২-১১ ব্যবধানে হেরেছে ইউনাইটেড। ১২-১১ ব্যবধান, ঠিকই পড়েছেন। সচরাচর ৫টি শুটআউট শটের পরই ম্যাচের ফল নির্ধারিত হয়ে যায়, সর্বোচ্চ ৬, ৭ কিংবা ৮টিই হলো। কিন্তু ম্যানচেস্টার বনাম গ্রিমসবাই টাউনের মধ্যকার ম্যাচের ফল বের করতে নিতে হলো ১২ শট।
ব্লান্ডেল পার্কে প্রথম ৫ শটের মধ্যে গ্রিমসবাই তৃতীয় ও ইউনাইটেড পঞ্চমটি মিস করে। দুদল পরের ৭ শটে একটিও মিস করেনি। ১২তম শটে গ্রিমসবাই এগিয়ে যাওয়ার পর ব্রায়ান এমবিউমো গোল করতে ব্যর্থ হন। ফলে কারাপো কাপ থেকে ছিটকে যায় রুবেন আমোরিমের শিষ্যরা।
মূল ম্যাচে প্রথমার্ধে গ্রিমসবাই এগিয়ে গিয়েছিল ২-০ গোলে। ২২ মিনিটে চালর্জ ভারনাম নিজে গোল করেন ও ৩০ মিনিটে তাইরেল ওয়ারেনকে দিয়ে করান। এই লিড দলটি ধরে রেখেছিল ম্যাচের ৭৪ মিনিট পর্যন্ত। ততক্ষণে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের কাছ থেকে চাকরি হারানোর ধুয়োধ্বনি শুনে ফেলেন আমোরিম। গ্রিমসবাইয়ের সমর্থকরা এ্রও বলতে থাকেন, তারা কি প্রতি সপ্তাহেই ম্যানচেস্টারের ক্লাবটির সঙ্গে খেলতে পারবে কি না।
ওই পরিস্থিতি থেকে ম্যানচেস্টার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালায় এমবিউমো ও হ্যারি মাগুইয়ারের গোলে। ৭৫ মিনিটে এমবিউমো ডি বক্সের বাইরে থেকে কয়েকজনের ফাঁক দিয়ে জাল খুঁজে নেন। হ্যারি মাগুইয়ার গোল করেন ৮৯ মিনিটে। কিন্তু কারাবো কাপে আর টিকে থাকতে পারল না তারা।
দিনের অন্য ম্যাচগুলোতে ফুলহ্যামের কাছে ব্রিস্টল ২-০, ব্রাইটনের কাছে অক্সফোর্ড ৬-০ ও এভারটনের কাছে মেন্সফিল্ড ২-০ গোলে হেরেছে।