News update
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     

সাঁতারের পোশাকে সৌদি আরবে নারীদের ফ্যাশন শো

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ফ্যাশন 2024-05-19, 6:33pm

9oreteiwopti-1b9b8a53c317b90d245843d7393f038c1716122027.jpg




রক্ষণশীলতার চর্চায় উপরের দিকে ছিলো সৌদি আরবের নাম। কিন্তু সেখানেই ঘটলো ভিন্ন এক ঘটনা, যেটাকে বলা হচ্ছে ‘ঐতিহাসিক’! যেই দেশে নারীদের পোশাক নিয়ে ছিলো বাধ্যবাধকতা, সেই সৌদিতে হচ্ছে সাঁতারের পোশাক বা স্নানপোশাক পরিহিত নারীদের ফ্যাশন শো!

প্রথমবার সৌদির মাটিতে আয়োজন করা হলো এমন ফ্যাশন শোয়ের। খিলাজ টাইমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সৌদির পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত সেন্ট রেজিস রেড সি রিসোর্টে এ ফ্যাশন শোয়ের আয়োজন করা হয়। (১৮ মে) শুক্রবার ছিল তার দ্বিতীয় দিন। আর এ দিনেই এই ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আয়োজিত ফ্যাশন শোয়ে মডেলদের পরনে ছিল স্নানপোশাক বা সুইমস্যুট যা মূলত ওয়ান পিস। লাল, ধূসর, নীল, সবুজ, কমলা, গোলাপি নানা রঙের মেলা বসেছিল এই শোয়ে। মডেলদের পোশাকে রঙের পাশাপাশি ঢঙেরও বৈচিত্র ছিল ঢের। কেউ ছিলেন উন্মুক্ত কাঁধে, তো কারও শরীরের মধ্যভাগও ছিল অর্ধেক উন্মুক্ত। কেউ কেউ আবার মাথা ঢেকেই পরে ছিলেন সুইমস্যুট।

মরক্কোর ডিজাইনার ইয়াসমিনা কাঞ্জলের তৈরি স্নানপোশাকে সেজে উঠেছিলেন মডেলরা। এই উৎসবের অংশ হতে পেড়ে উচ্ছ্বাসিত ইয়াসমিনাও। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পোশাকের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, রক্ষণশীল সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই রুচিশীল স্নানপোশাক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই ফ্যাশন শোয়ে অংশ হতে পেরে আমি খুব খুশি।

এক দশকের কম সময় আগের কথা, তখনও পর্যন্ত সৌদির নারীদের পর্দা ছিলো বাধ্যতামূলক। মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখার নিয়ম ছিল। তবে বর্তমানে ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সৌদি। সৌদি আরবের এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলও।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সৌদির সরকারি ফ্যাশন কমিশনের গত বছরের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে ২০২২ সালে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি থেকে ১২.৫ বিলিয়ন ডলার এসেছে, যা জাতীয় জিডিপির ১.৪ শতাংশ।