News update
  • 5mmcfd gas to be added to national grid from Kailashtila gas field     |     
  • ArmArmed Forces Day: Tarique's message draws on historic closeness     |     
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     

কাঁচা মরিচের ঝালে পুড়ছে বাজার, স্থিতিশীল চাল-মুরগির দাম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বানিজ্য 2025-07-11, 2:31pm

813577ea144125f8daf0aec92a28dc5ac133b2415b229877-5e62129a8ca4b568dedad6b4183892001752222681.jpg




রাজধানীর বাজারে প্রায় সব ধরনের শাকসবজির দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। তবে মুরগি ও চালের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে সবজির দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়ে প্রতি কেজি বেগুন ৮০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা এবং গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকার ক্ষেত ডুবে গেছে। সরবরাহ কম। তাই কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। শুক্রবার কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে। অথচ দুইদিন আগেও এর দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।

কাঁচা মরিচ বিক্রেতা সজল বলেন, বৃষ্টিতে ক্ষেত ডুবে যাওয়ায় মরিচ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজার কিছুটা চড়েছে। প্রতি বছরই এসময় বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ে।

সবজি কিনতে আসা ক্রেতা নাসিমা আক্তার বলেন, বাজারে ফের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। বিশেষ করে কাঁচা মরিচের দাম আকাশছোঁয়া। মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না করলে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

চালের বাজারে নতুন করে দাম বাড়েনি। আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে মিনিকেট চালের কেজি ৮২ থেকে ৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা এবং মোটা চাল ৫৬ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাল ব্যবসায়ী রাকিব বলেন, ‘চালের দাম কিছুটা বেশি আছে, তবে নতুন করে আর বাড়েনি। মানুষ বেশি কিনতে পারছে না, বিক্রিও কম।’

মাছের বাজারে দাম চড়া। বিশেষ করে ইলিশের দাম বেড়েছে। মাছ বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ইলিশের জোগান কম, তাই দাম বেশি। অন্যান্য মাছের দামও কিছুটা বেড়েছে।’

বাজারে চাষের রুই বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩৫ টাকা, চাষের কৈ ২৮০ থেকে ৩০০, পাবদা ও শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।

স্থিতিশীল রয়েছে মুরগির বাজার। প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০-৩০০ টাকায়। আর ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা।

গরু ও খাসির মাংসের দামেও তেমন পরিবর্তন নেই। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই সরকারের কার্যকর নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে বাজারে অস্থিতিশীলতা না বাড়ে এবং সাধারণ মানুষ স্বস্তি পায়।