News update
  • ‘With Science, We Can Feed the World of 9.7 Billion by 2050′     |     
  • WHO warns of severe disruptions to health services for funding cuts     |     
  • ICJ hears Sudan’s case accusing UAE of ‘complicity in genocide’     |     
  • Bombardment, deprivation and displacement continue in Gaza     |     
  • Aged and Alone: The hidden pains in old age homes     |     

তথ্যপ্রযুক্তি খাত: আওয়ামী লীগের নেয়া ২৮ হাজার কোটি টাকার ৫৫ প্রকল্পেই অনিয়ম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2024-10-27, 7:21am

img_20241027_072210-fd4bfd46daf732a6c1d30b21837b89901729992150.jpg




প্রকল্প পরামর্শক হিসেবে প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে নেয়া হয়েছে আলাদা আলাদা ব্যক্তি। কেনাকাটায় দেখা হয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রকল্প মূল্যায়নে এমন তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারি অর্থায়নে চলমান প্রকল্পে কেনাকাটা এবং অর্থছাড় স্থগিত করা হয়েছে। সচিব জানান, মূল্যায়ন শেষে বাদ যাবে অপ্রয়োজনীয় পরামর্শক। ছাড় পাবে না অনিয়মকারীরাও।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা তৈরি, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত সুসম্পর্ক তৈরির লক্ষ্যে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে নেয়া হয় ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকো-সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্প। ওয়েবসাইটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই প্রকল্পে ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ১১ জনই পরামর্শক। যারা মাসে সর্বনিম্ন সাড়ে ৬৬ হাজার টাকা থেকে বেতন নিচ্ছেন ৪ লাখ ১১ হাজার টাকা পর্যন্ত।

শুধু এই প্রকল্প নয়; ২০১০ সাল থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের নেয়া প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকার ৫৫টি প্রকল্পেই রয়েছে অনিয়মের নানা অভিযোগ। যা খতিয়ে দেখছে অন্তবর্তী সরকার-গঠিত ১২ সদস্যের কমিটি।

আইসিটি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে চলমান ২২ প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এজন্য ১ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি; শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন এবং আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবিশন সেন্টার স্থাপন শীর্ষক ৩ প্রকল্পসহ সরকারি অর্থায়নের অন্যান্য প্রকল্পে কেনাকাটা এবং অর্থছাড় সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কোনো ফার্মকে দিলে হয়তো ফার্ম ১০টা কাজ একত্রে করে দিতে পারতো; সেটা না করে ৩০-৪০ জন পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একটা প্রকল্প যদি শুধু পরামর্শক-নির্ভরত থাকে, তাহলে প্রকল্পের অন্যান্য কাজ করতে যে ব্যয় করতে হবে তা সামলে প্রকল্প সামনে নিয়ে যাওয়া কঠিন।

কেনাকাটার ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থরক্ষা করার প্রমাণ পেয়েছে মূল্যায়ন কমিটি।

সরকারি অর্থায়নের প্রকল্প সাময়িক বন্ধ থাকলেও দাতা সংস্থার অর্থায়ন বা ঋণে চলমান প্রকল্পের কাজ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন মূল্যায়ন কমিটির একজন্য সদস্য। তথ সূত্র সময় সংবাদ।