News update
  • Dhaka’s air quality ‘moderate’ on Thursday     |     
  • Rice traders refuse to unload cargo for high duty at Hili     |     
  • Malnutrition Claims 100 Young Lives in Gaza, Says UNRWA     |     
  • Hunger and Bombs Ravage Besieged Civilians in Sudan’s El Fasher     |     
  • Loan defaulters won’t be allowed in nat’l polls: Salehuddin     |     

তিন ধরনের লোক বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে লুটপাটে জড়িত: অধ্যাপক তামিম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিদ্যুৎ 2024-12-14, 7:03pm

erwrwerwq-0789a335106ceb5dd1ea4e9565b945b41734181416.jpg

নিজস্ব ক্ষমতা সম্পন্ন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান দরকার বললেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম। ফাইল ছবি



বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতকে একক ক্ষমতাবলে কুক্ষিগত করে রেখে সীমাহীন দুর্নীতি করা হয়েছে। রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীরাই এই দুটি খাতে লুটপাটে জড়িত।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম।

তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতা ছাড়াই বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেয়া হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে একক ক্ষমতা চরম অপব্যবহার করা হয়েছে। পিডিবি বিদ্যুৎ কেনা, সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ হয় এককভাবে। আমলা, রাজনীতিবিদরা এই একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করে সুবিধাভোগ করে। নিজস্ব ক্ষমতা সম্পন্ন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান দরকার। যার মাধ্যমে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে দুর্নীতি কমিয়ে আনা সম্ভব।’

আইন দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ হয় না উল্লেখ করে এই অধ্যাপক বলেন, ‘মাফিয়ারা আইনের মাধ্যমেই চুরি করেছে। কিছু ক্ষেত্রে আইনের ফাঁক রয়েছে। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া দরকার। তাহলে পরবর্তীতে কেউ এমন করার সাহস পাবে না। এজন্য শপথ নিতে হতে হবে তরুণদের।’

 ‘শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে ৩ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত মুনাফা দেখানো হয়েছে। কাগজ-কলমের মাধ্যমে আমরা দেখিয়েছি। কিন্তু কাগজের বাইরে যে লুটপাট হয়েছে, তা প্রমাণ করা সম্ভব নয়,’ বললেন ড. ম তামিম।

তিনি আরও বলেন, ‘আদানির প্রজেক্টে কয়লার মূল্য অনেক বেশি ধরা হয়েছে। বাকি কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রে কয়লার দাম অনেক কম। ১০০ শতাংশ ক্যাপাসিটি চার্জ তো দিতে হবেই, সঙ্গে ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের দাম দিতে হবে, ব্যবহার না করলেও। অন্যান্য ক্ষেত্রে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ দিলেই চলে। দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য তেলবিদ্যুতের বিকল্প ছিল। কিন্তু ২০১২-১৩ সালের পর কুইক রেন্টাল প্রয়োজন ছিল না।’

ডোমেস্টিক সেক্টরে মূলত গ্যাস চুরি হচ্ছে উল্লেখ করে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সার্বক্ষিণিক ব্যবহার করছে দুই চুলা ১৪০০ টাকায়। দুই সিলিন্ডার ব্যবহারে লাগে ২৮ হাজার। তফাত কম হলে চুরি কম হতো। যেহেতু পার্থক্য বেশি, সেহেতু অবৈধ সংযোগে ঝোঁক বেশি। এটি বন্ধ করতে কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার।’

তিনি বলেন, ‘বিপিসি বাংলাদেশের সবচেয়ে অস্বচ্ছ একটি প্রতিষ্ঠান। এর সঙ্গে সরকারি স্বার্থ জড়িত। লস দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ হাতানোর কারণে একে অস্বচ্ছ রাখা হয়েছে। এর নিয়ন্ত্রণ বিইআরসির হাতে দেয়া উচিত। বাংলাদেশের বিদ্যুতখাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার দরকার আছে, কিন্তু তা অবশ্যই ন্যায্যতার ভিত্তিতে।’ সময় সংবাদ