News update
  • Tarique Calls for United Effort to Build a Safe Bangladesh     |     
  • Tarique leaves for 300 feet area from airport     |     
  • BNP top leaders welcome Tarique Rahman on homecoming     |     
  • Flight carrying Tarique, family lands in Dhaka     |     
  • Red bus with ‘Bangladesh first’ slogan ready at Dhaka airport for Tarique     |     

ঘূর্ণিঝড় রিমাল : সুন্দরবন থেকে ৪০ প্রাণীর মরদেহ উদ্ধার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2024-05-29, 1:43pm

ewetwtw-bd7fd00121163b5b94e9ecf0cbeb6aed1716968622.jpg




উপকূলের রক্ষাকবজ সুন্দরবন। সেই সুন্দরবন ক্ষতবিক্ষত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে। ঝড় চলে গেলেও সুন্দরবনে রয়ে গেছে সেই ক্ষতচিহ্ন। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৪০টি বন্যপ্রাণীর মরদেহ। বনের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এসব মরদেহ। ঝড়ে উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা। বন বিভাগের জেটি, মিষ্টি পানির পুকুরসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অবকাঠামোও।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘রিমালের বিষয়ে আমরা আগে থেকেই সতর্ক ছিলাম। যার কারণে মানুষের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে অবকাঠামোর বেশকিছু ক্ষতি হয়েছে।’

বন বিভাগের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সুন্দরবন মায়ের মতো বুক পেতেই আমাদেরকে রক্ষা করে চলেছে। ঝড়ে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হলদে বুনিয়া, কচিকাটাসহ অভয়ারণ্যের ক্যাম্পগুলোর রাস্তা ভেঙে গেছে। পুকুর ডুবে গেছে, পাড় ভেঙে গেছে। বেশকিছু ক্যাম্পেরও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।’

ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি পাঁচ থেকে সাত ফুট পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পায়। ফলে লোকালয়ে ভেসে আসা বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা, চুনকুড়ি নামক এলাকা থেকে তিনটি হরিণ উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছি অবমুক্ত করা হয়েছে।’

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ইনচার্জ হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে এখানকার পর্যটক চলাচলের কাঠের পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ভেঙেছে অসংখ্য গাছপালা।’

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, ‘পূর্ব বন বিভাগের দুবলার চর, শেলার চর, কচিখালী, কটকা, শরণখোলা ও বরগুনা জেলার পাথরঘাটা স্টেশনের টিনের চালা উড়ে গেছে। কটকা কেন্দ্রের কাঠের জেটি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। বনকর্মী, জেলে, বাওয়ালি ও বন্যপ্রাণীদের জন্য সুপেয় পানির যে আধার ছিল, সেগুলো পানিতে প্লাবিত হয়ে নোনা পানি ঢুকে গেছে। কটকায় সুপেয় পানির যে পুকুরটি ছিল, সেটি সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।’

কাজী মোহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, ‘আমাদের ওয়ারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম অনেক জায়গায় নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে ছোট ছোট যে ট্রলারগুলো ছিল, সেগুলো জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক কাঠ ভেসে গেছে। প্রবল বাতাসের ফলে বনের গাছ ভেঙেছে। বেশ কিছু বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর খবরও পেয়েছি।’

খুলনার বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ৩৯টি মৃত হরিণ ও একটি মৃত বন্য শূকর উদ্ধার করা হয়েছে। শতাধিক মিষ্টি পানির পুকুর নোনা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। আর ৭০টিরও বেশি জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৭টি হরিণ জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।’

প্রাথমিকভাবে সুন্দরবনে বন বিভাগের ছয় কোটি ২৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।