News update
  • Gaza hospital says 20 killed in Israeli strike on Nuseirat     |     
  • Officials warned against negligence in OMS food distribution     |     
  • Dhaka’s air quality 2nd worst in the world this morning     |     
  • Eleven missing after South African trawler sinks     |     
  • 800,000 have fled fierce fighting in Rafah, UN says     |     

পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যুর জেরে ইরানে হিজাব পুড়িয়ে বিক্ষোভ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মানবাধিকার 2022-09-21, 11:09am

img_20220921_110725-f122c6de9b5a85ec3f384325a5b5b73f1663736959.png




হিজাব আইন ভঙ্গের জের ধরে ইরানে একজন নারীর মৃত্যুর পর সেদেশে যে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তাতে অংশ নেয়া নারীরা হিজাব পুড়িয়ে দিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

দেশটিতে গত পাঁচদিন ধরে বিক্ষোভ চলছে এবং অনেক শহরে, নগরে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে।

তেহরানের উত্তরের শহর সারিতে শত শত নারী বিক্ষোভের অংশ হিসাবে হিজাবে আগুন ধরিয়ে দেন।

ইরানের রাজধানী তেহরানে গত সপ্তাহে মাশা আমিনিকে হিজাব আইন ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের নৈতিকতা রক্ষা পুলিশ। আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তিনি অচেতন হয়ে যান। তিনদিন কোমায় থাকার পর গত শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই ইরানে হিজাব বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ বলেছেন, অভিযোগ রয়েছে, আটকের পর মাশা আমিনির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেছিল পুলিশ এবং তাদের গাড়িতে মাথা ঠুকে দেয়।

তবে তার ওপর নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, মাশা আমিনি হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু মিজ আমিনির পরিবার জানিয়েছেন, তিনি পুরোপুরি সুস্থ এবং সবল ছিলেন।

ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের কুর্দিস্তান থেকে এসেছিলেন বাইশ বছর বয়সী মাশা আমিনি। সেখানেও বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ গুলি চালানোয় সোমবার তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির একজন সহকারী মিজ আমিনির পরিবারের সঙ্গে সোমবার দেখা করেছেন।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে যে, সেখানে তিনি বলেছেন, ''অধিকার ভঙ্গ করা হলে সেটা রক্ষায় সব প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে যাবে।''

ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক জালাল রাশিদি প্রকাশ্যেই সেদেশের নৈতিক পুলিশের সমালোচনা করে বলেছেন, এ ধরনের পুলিশ তৈরি করা একটি ভুল হয়েছে যা ইরানের জন্য শুধুমাত্র ক্ষতি বয়ে এনেছে।

কুর্দিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নজরদারি করে, নরওয়ে ভিত্তিক এমন একটি সংগঠন হেনগাও জানিয়েছেন, শনিবার এবং রবিবার কুর্দিস্তানের বিক্ষোভে দাঙ্গা পুলিশের গুলি, রাবার বুলেট এবং টিয়ার গ্যাসে অন্তত ৩৮ জন আহত হয়েছে।

সেখানে তিনজন পুরুষ বিক্ষোভকারী গুলিতে নিহত হয়েছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। এখনো সেখানে বিক্ষোভ চলছে।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তেহরানে নারীরা তাদের মাথার হিজাব খুলে ফেলে দিয়ে চিৎকার করছেন 'স্বৈরাচারীর মৃত্যু চাই''- যে শ্লোগানে ইরানে সাধারণত শীর্ষ নেতাকে বোঝানো হয়।

সেখানে আরও শ্লোগান দেয়া হয়, 'বিচার চাই, স্বাধীনতা চাই, হিজাব পরা বাধ্যতামূলক চলবে না।'

বিক্ষোভে অংশ নেয়া একজন নারী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ঘিরে ধরে তার ওপর হামলা করে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। তাদের যৌনকর্মী বলেও গালি দিয়েছে পুলিশ।

আরেকজন নারী বলেছেন, তিনি যখন মাথার হিজাব খুলে ফেলে উড়াচ্ছিলেন, তখন অন্য পুরুষ আন্দোলনকারীরা তাকে ঘিরে ধরে নিরাপত্তা দিয়েছে, যা দেখে তার অনেক ভালো লেগেছে। তিনি চান, বিশ্ববাসী তাদের এই আন্দোলনে সমর্থন দেবে।

তবে তেহরানের গভর্নর মোহসেন মানসুরি মঙ্গলবার একটি টুইট করে বলেছেন, 'অস্থিরতা তৈরি করার জন্য পুরোপুরি সংগঠিত হয়ে পথে নেমেছে বিক্ষোভকারীরা।'

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, মিজ আমিনির মৃত্যুকে একটি বাহানা হিসাবে ব্যবহার করছে কুর্দিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এবং সরকারের সমালোচনা করছে। তথ্য সূত্র বিবিসি বাংলা।