News update
  • Young disabled people of BD vow to advocate for peace     |     
  • World Leaders Urged to Defend Human Rights and Justice     |     
  • Vegetable prices remain high, people buy in small quantities     |     
  • Off-season watermelon brings bumper crop to Narail farmers     |     
  • Climate Change Drives Deadly Floods, Storms, and Water Crises     |     

চীনে স্কুল পর্যায় থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেবার উদ্যোগ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2024-05-02, 1:31pm

b167ebcc-9db5-47db-82c0-2f0379ade8b0_cx0_cy5_cw0_w408_r1_s-bc77d9fece9341319025412abe23788b1714635082.jpg




চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা হংকংয়ের স্টোনকাটার নৌঘাঁটিতে উন্মুক্ত দিবসে তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করছেন। ফাইল ছবি (৩০ জুন, ২০১৯)

চীন বলছে তারা জাতীয় প্রতিরক্ষা শিক্ষা আইনের সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, এমন কী, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতেও সামরিক প্রশিক্ষণের সম্প্রসারণ ঘটানো। প্রস্তাবিত সংস্কারের অপর লক্ষ্য হল প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সবার জন্য সার্বিকভাবে প্রতিরক্ষা বিষয়ক শিক্ষার উন্নয়ন করা।

চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস—যেটি কাগজে কলমে দেশটির বিধানসভা—গত সপ্তাহে সংস্কারগুলো পর্যালোচনা করতে শুরু করেছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। মে মাসের শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবিত সংস্কার বিষয়ে দেশের সাধারণ জনগণও মন্তব্য করতে পারবে। তবে বৃহত্তর পরিসরে বিতর্ক আয়োজনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

এই আইনের আগের সংস্করণটি অতটা কঠোর বা স্পষ্ট ছিল না। তবে প্রস্তাবিত সংস্কারে বলা হয়েছে, হাই স্কুল ও উচ্চ শিক্ষার বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নরত অবস্থায় প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সংস্কার মতে, জুনিয়র হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরাও সামরিক প্রশিক্ষণ পেতে পারেন।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সংস্কারের কিছু বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়। জানানো হয়েছে, এই সংস্কারগুলো সমাজের সকল স্তরে “জাতীয় নিরাপত্তা সচেতনতা” বাড়াতে ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিকে “বিভিন্ন নতুন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিবর্তনের” সঙ্গে মানিয়ে নিতে সহায়তা করবে। তবে এসব প্রতিবেদন এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ভয়েস অফ আমেরিকার ম্যান্ডারিন সার্ভিসের সঙ্গে যেসব বিশ্লেষক কথা বলেছেন, তারা প্রস্তাবিত সংস্কারের সঙ্গে ক্ষমতাসীন চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টির বা সিসিপির ওপর চীনের অর্থনীতির মন্দা ও বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক চাপের যোগসূত্র দেখতে পেয়েছেন।

বিশ্লেষকরা আরও বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা সচেতনতার ওপর বাড়তি জোর দেওয়ার বিষয়টিকে চীনের ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী অনুভূতিকে আরও উসকে দিতে পারে এবং বহির্বিশ্বের বিরুদ্ধে বিরূপ বা আক্রমণাত্মক মনোভাব তৈরি করতে পারে, কিন্তু একইসঙ্গে এটি আরও বেশি সংখ্যক তরুণকে সামরিক বাহিনীতে যোগদানে উৎসাহিত করতে পারে।

চীনের জাতীয় নিরাপত্তা শিক্ষা আইন ২০০১ সালে পাস হয় এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে এর সংস্কার হয়। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা।