Ganatantra Manch held a rally in front of the National Press Club on Saturday.
শণিবার গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে ‘একতরফা ভোট বর্জনের আহবানে’ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশের পূর্বে একটি মিছিল মেহেরবা প্লাজা থেকে শুরু হয়ে পল্টন, বিজয়নগর মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি'র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাখখারুল ইসলাম নবাব।
সমাবেশ পরিচালনা করেন পরিচালনা করেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সরকার লুটেরাদের সাথে ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারা করে দেশে ব্যাংক-লুট, টাকাপাচার ও মাফিয়াতন্ত্রকে পাকাপোক্ত করার নির্বাচন করছে। যাতে এই নির্বাচনটা নিরাপদ ও ন্যায্য বাধা-বিরোধীতা ছাড়া তারা করতে পারে সেজন্য বিরোধীদের ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করেছে। এই তামাশায় ২ হাজার কোটি টাকাও খরচ করা হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ট্রেনে আগুন লাগিয়ে ৪ জন মানুষের মৃত্যু ভয়ংকর ও মর্মান্তিক। অবিলম্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। নেতৃবৃন্দ মানুষের জীবন নিয়ে খেলার বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি জোরালো আহবান জানান।
নেতবৃন্দ বলেন, একদিকে ভোটদানের অধিকার কেড়ে নিয়ে রঙ্গ তামাশার আয়োজন চূড়ান্ত, অন্যদিকে মানুষকে ভয় দেখানোর নির্মম পদ্ধতিগুলোর মঞ্চায়ন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সারাদেশে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে, জোর জবরদস্তি করে, টাকা ছিটিয়ে ভোটকেন্দ্রে আনার পায়তারা চলছে। জনগণের শান্তিপূর্ণ ভোট বর্জনের কর্মসূচির উপর হামলে পড়ছে। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা ভোটাধিকারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-কর্মসূচি করলেও তাদের নাম ঠিকানা নিয়ে তাদের অভিভাবকদের ফোনে হুমকি দিচ্ছে সরকার।
মূলত, জতিকে বিভক্ত করা, ষড়যন্ত্র করা, ইত্যাদি ছাড়া- এই সরকারের দেশকে দেয়ার আর কিছু নাই। তাই তারা এমনকি নিজেদের দলের লোকদের হত্যা করতেও পিছপা হয় না। একতরফা নির্বাচনের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশকে রিপাবলিক থেকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে তারা পরিণত করতে চায়। জনগণ নির্বাচনকে বয়কট করে ভোট কেন্দ্রে যাবে না। আর না যাওয়াই হবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের নীরব প্রতিবাদ। এই নীরব প্রতিবাদ বাংলাদেশে এক নতুন গণপ্রতিরোধের সূচনা করবে। এর উপর দাঁড়িয়েই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের লড়াই বিজয়ী হবে। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি