News update
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • Sudan war becomes more deadly: Ethnically motivated attacks up     |     
  • Dhaka's RMG exports reach $38.48 bn in 2024: New markets up     |     
  • Bangladesh’s GDP Growth to Decline to 4.1% in FY25: WB     |     

প্রত্যাখ্যান করে মানুষ জানিয়ে দিয়েছে দেশে কোন নির্বাচন নাই - গণতন্ত্র মঞ্চ

রাজনীতি 2024-01-08, 8:46pm

ganatantgra-manch-staged-a-sit-in-demonstratioopn-on-7-jan-2024-in-dhaka-in-support-to-their-boycott-of-election-a6b91979882a46214b3d881e0013f9c71704725206.jpeg

Ganatantgra Manch staged a sit-in demonstration on 7 Jan 2024 in Dhaka in support to their boycott of election.



৭ জানুয়ারি গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একতরফা নির্বাচন বর্জন করে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের পর একটি মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব হতে পল্টন হয়ে পুনরায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিতে  সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি'র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু। সভা পরিচালনা করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশে মানুষ ভোট দিতে যায়নি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নানা জোরজবরদস্তি, হুমকি- ধামকি দিয়েও ভোটকেন্দ্রে জনগণকে উপস্থিত করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন গণতন্ত্র আছে এটাই নাকি প্রমাণ করতে মানুষ ভোট দিতে আসবে! কিন্তু মানুষ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দিয়েছে দেশে কোন নির্বাচন নাই, গণতন্ত্র নাই। জনগণ ভোটকে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের মানুষকে হুমকি ধমকি দিয়ে কিংবা প্রলোভন দেখিয়ে কিংবা হাতে-পায়ে ধরেও ভোট কেন্দ্রে আনতে পারেনি। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য দিয়েছেন, শতকরা ১ ভাগ ভোটার উপস্থিতি হলেও নির্বাচন আইনি বৈধতা পাবে! ফলে এর মাধ্যমে  প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নিজেই পরোক্ষভাবে স্বীকার করলেন ভোটাররা এই একতরফা, ডামি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ৭ জানুয়ারি যেমন ফেলানিল লাশ কাটাটারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল, তেমনি এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশের জনগণকেও ঝুলিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু জনগণ এই সরকারের একতরফা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নতুন গণ প্রতিরোধের সূচনা করেছেন। এই গণপ্রতিরোধের উপর দাঁড়িয়েই জনগণের আন্দোলনকে বিজয়ী করতে হবে।

নতুন করে বাংলাদেশের আইন, সংবিধান, বিচারব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে।  এই দেশকে স্বাধীন ও মর্যাদাবান নাগরিকের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এই ‘ ভুয়া রাজনীত’, ‘ভুয়া সরকার’ এবং ‘মাফিয়াগোষ্ঠীর’ ক্ষমতা থেকে হঠিয়ে দিয়ে জনগণের দেশ ও রাষ্ট্র গড়ে তোলার রাজনীতিকে গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্র-সংবিধান, ক্ষমতাকাঠামো ইত্যাদির গণতান্ত্রিক সংস্কার করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপান্তরের লড়াইকেই সামনে আনতে হবে। 

সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ।

৯ জানুয়ারি সকালে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতির উপরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি