BML Logo
সম্প্রতি পাহাড়ি-বাঙালী সংঘাত ও প্রাণহানির ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টাকে কঠোর হস্তে দমনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ। আজ (২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট মহসীন রশিদ ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা তথা পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী ও বাঙালীরা সম্প্রীতি বজায় রেখে সহবস্থান করে যাচ্ছে।
অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানে, দিল্লীর শিখণ্ডী শেখ হাসিনার পতন ও পালিয়ে যাওয়ার পর, ভারত তাকে ও তার দলকে পুনর্বাসনের অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে দেশের আপামর জনগণ বিশ্বাস করে। সামরিক ও জুডিশিয়াল ক্যু, সংখ্যা লঘু কার্ড, ১৫ই আগস্ট ঢাকা দখল, গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর উপর হামলা, আনসার বাহিনীর সচিবালয় ঘেরাও, প্রশাসন ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের দাবী-দাওয়া নিয়ে রাজপথে নেমে আসা, গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস করতে শ্রমিকদের আন্দোলনে নামানো একে এক সব ষড়যন্ত্র ছাত্র-জনতার সচেতনতা ও সজাগ দৃষ্টি থাকার কারণে ব্যর্থ হওয়ায় ভারত দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ পত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী অন্তর্বর্তী কালীন সরকার গঠিত হওয়ার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের নৃগোষ্ঠী ছাত্রদের একটি গ্রুপ কর্তৃক এবং ভারতের চাকমা সম্প্রদায়ের নেতাদের ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক না করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেয়া এ পাহাড় অশান্তি প্রচেষ্টার সাথে দিল্লীর সম্পৃক্ত থাকার জোরালো সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে চট্টগ্রামের নৃগোষ্ঠী ছাত্রদের একটি গ্রুপ কর্তৃক ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি প্রদান সরাসরি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা করা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতা তুল্য অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন নেতৃদ্বয়।
এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক জড়িতদের রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবী জানিয়ে প্রবীণ দুই রাজনীতিবিদ পাহাড় অশান্তের চেষ্টায় সীমানার ওপারের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর নিকট আহ্বান জানিয়েছেন। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি