News update
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     
  • One killed over loud music row at wedding party in Natore     |     
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     

নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি হবে, দেশের জন্য তত মঙ্গল : মির্জা ফখরুল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2024-11-01, 7:57am

bienpi_0-821184aebdad0a07ff37d8c6abcf5b921730426270.jpg




কেনো জাতীয় নির্বাচন দ্রুত চান তার ব্যাখ্যা দিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আস্থা রেখে দ্রুত নির্বাচনের কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দ্রুত নির্বাচন চাই। এটা আমরা পরিষ্কার করেছি, কেনো দ্রুত নির্বাচন চাই। দ্রুত চাই এজন্য যে, নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণকে আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। সেজন্য আমরা মনে করি…সংস্কার করতে হবে, তা নিয়ে যাবে পার্লামেন্টে; সেইভাবে অনুমোদন করা হবে, ডিবেট করে সেখানে সেটা পাস করাতে হবে এবং তাদের জনপ্রতিনিধিকে গ্রহণ করিয়ে সেটা করতে হবে। সুতরাং নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি হবে, তত দেশের জন্য মঙ্গল।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দ্বিতীয়ত ফাঁদ থাকলে সেখানে আমাদের শত্রুরা যারা চেষ্টা করছে আমাদের সমস্ত কিছু দখল করে ফেলা এবং বিপ্লবকে ব্যর্থতায় পরিণত করার তারা সুযোগ পেয়ে যায় এবং পাচ্ছে। আপনি দেখবেন বিভিন্ন মহল বিভিন্ন জায়গায় দাবি-দাওয়া নিয়ে আসছে… কেনো বাবা আগে কেউ করনি…এখন নিয়ে আসছো? অপেক্ষা করো? জনগণের সরকার আসুক।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এসব বিষয়গুলো বোঝা উচিত, মাথায় রাখতে হবে। অনেকে বলে যে, এতদিন পারিনি তাই এখন দাবিগুলো আনছি। এতে তো দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমি একটু চিন্তিত হয়ে যাই, কিছুক্ষণ আগে সাইফুল হক ভাই বলেছেন, উদ্বিগ্ন হই কোনো কোনো উপদেষ্টা কখন যে কী বলেন, ওখানেই আমাদের খটকা লাগে। আমি আশা করব যে, আপনি একটা সরকারে আছেন, দায়িত্ব পালন করছেন… আপনারা এমন কোনো কথা বলবেন না বা এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়।

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, সম্ভবত লোকাল গভর্নমেন্টের অ্যাডভাইজার সাহেব (হাসান আরিফ) বলেছেন যে, চার বছর হবে স্থানীয় সরকারের মেয়াদ। এটাতো তার বলার কথা নয়। তারা কমিশন গঠন করেছেন সেই কমিশন প্রস্তাব দেবেন, জনগণ গ্রহণ করবে; তারপরে না জনগণ ঠিক করবে। কিন্তু যিনি ক্ষমতায় বসে আছেন তিনি যদি বলেন যে, সরকারের মেয়াদ চার বছর হবে তাহলে একটা চাপ পড়ে যায়… এই কাজটা হাসিনা (শেখ হাসিনা) খুব ভালোভাবে করতেন। যেকোনো মামলার রায়ের আগে বলে ফেলতেন…ওটা কখনো সঠিক পথে নিয়ে যাবে না। তাই অনুরোধ করব, এমন কথা-বার্তা না বলা, যেটাতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়।

বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি এবং এটা বলতে বাধ্য হচ্ছি, আমাদের বাংলাদেশের মানুষ আমরা অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করি। আমরা সব সময় সব সম্প্রদায় একসাথে কাজ করে আসছি, একসাথে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু ইদানিং দেখছি একটা সম্প্রদায়ের মানুষ… একটা বড় রকমের আন্দোলন সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। যেটা কেনো জানি না, ভারতের যে বক্তব্য বাংলাদেশের বিপদ সম্পর্কে তার সঙ্গে মিলে যায়। যেটা বাংলাদেশের এই বিপ্লব ছাত্র-জনতার রক্ত দিয়ে যে অর্জন করা সেটাকে তো অনেকাংশে বিপন্ন করার চেষ্টা করছে। এই কথা বলতে আমি বাধ্য হলাম। আমাকে বিদেশের সাংবাদিকরা টেলিফোন করেন বিশেষ করে ভারতের সাংবাদিকরা তারা বলতে চান যে, স্যার ড. ইউনূস কি রাষ্ট্র চালাতে পারছেন না… এই ধরনের কথা বার্তা তাদের কাছ থেকে আসে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমি তাদেরকে বলি গোটা দেশের মানুষ তার ওপর আস্থাশীল। তিনি সুন্দরভাবে দেশ চালাচ্ছেন। যাকে মানুষ সমর্থন দেয়, সেখানে কোনো কিছু থাকতে পারে না।

জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির তানিয়া রব, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।